Monday, June 16, 2025
Homeগাইবান্ধাঈদ পরবর্তী ঢাকামুখী যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে বিআরটিএ'র ভ্রাম্যমাণ আদালত...

ঈদ পরবর্তী ঢাকামুখী যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

আনোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
ঈদ-উল-আযহা উদ্‌যাপন শেষে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে গাইবান্ধার মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।

শনিবার আধাবেলা ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পলাশবাড়ীতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ গাইবান্ধার যৌথ উদ্যোগে এই আদালত পরিচালনা করেন। এতে নেতৃত্ব দেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ট্রেজারি শাখা মোহাম্মদ মুনতাসির মারুফ।

এসময় গাইবান্ধা বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক কামাল আহম্মেদ কাজল, অফিসের কর্মচারীগণ, জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের টিআই মহিউদ্দিনসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আদালত পরিচালনাকালে সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন গাড়ির ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ২৯ টি মামলায় ৭৪ হাজার ১শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

গাইবান্ধা বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক কামাল আহম্মেদ কাজল বলেন, ফিটনেস বিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালকের কারণে এবাবের ঈদেও সড়কে অনেক প্রাণ ঝড়ে গেছে। সড়কে নির্ধারিত গতির বেশি গাড়ী চলাচলে দুর্ঘটনা বেশি হয়। গাড়ি ও চালকের সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখা হয়। পলাশবাড়ী ট্রাফিক পুলিশের টিআই মহিউদ্দিন বলেন, মোটর সাইকেল, হেলমেট বিহীন মোটর সাইকেল চালক, বাস, প্রাইভেট কারের কাগজপত্র ও ফিটনেস ঠিক না থাকায় মামলা দেয়া হয়। বাসের বেশি জরিমানা করা হয়েছে।

কয়েকজন চালক বলেন, একাধিকবার গাড়ির মালিককে তাগাদা দিলেও কাগজপত্র ঠিক করে
দেয়নি। গাড়ীর ব্যবসা খারাপ যাচ্ছিলো। আমাদের চালক লাইসেন্সে কোনো ঝামেলা নেই। ঢাকা ফিরেই গাড়ির কাগজের ঝামেলা ঠিক করা হবে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ট্রেজারি শাখা মোহাম্মদ মুনতাসির মারুফ বলেন, ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমুখী যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মহাসড়কে সড়ক পরিবহণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। গাড়ির, চালক ও কাগজের ত্রুটি থাকায় মামলা হিসেবে অর্থ দণ্ড বা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বেশ কিছু গাড়ি দ্রুত গতিতে থাকায় তাদেরকেও মামলা দেয়া হয়। মোট ২৯টি মামলায় ৭৪ হাজার ১শ’ টাকা আদায় করা হয়। যা সরকারি কোষাগাড়ে জমা করা হয়।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর