ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে স্কুল মাঠে অবৈধভাবে পশুর হাট বসাতে ব্যর্থ হওয়ায় সাংবাদিককে হুমকি দিলেন বিএনপি নেত্রী। ওই বিএনপি নেত্রীর নাম জেয়ারা খাতুন রুজি। তিনি বিএনপির উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতি পাশাপাশি একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
সম্প্রতি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে পশুর হাট বসানোর আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় ওই নেত্রী। এরপর দুইদিন পশু বেচাবিক্রিও করেছিলেন।
এ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সেনাবাহিনীর নজরে আসে। এরপর বিএনপি নেত্রী রুজিকে কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে তলব করে হাট সরানোর নির্দেশ দেন। এরপর হাট সরাতে বাধ্য হন বিএনপির সেই নেত্রী।
এরপর পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করায় দৈনিক কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক এস এম রাফি কে দলীয় ট্যাগ দিয়ে টাকা দাবির অভিযোগ তুলেন। মহিলা নেত্রী সাংবাদিকের ফেসবুকে ওয়ালে মন্তব্য করে বলেন, তুমি (সাংবাদিক রাফি) যে টাকা আমার কাছে চেয়েছিলে,এটা আমার দেয়া সম্ভব হয়নি, কারণ আমি অন্যায় করি নাই।ভাল হয়ে যাও। সেটাই ভালো হবে বলে হুমকি প্রদান করেন। রুজি আরও উল্লেখ করে লেখেন, আওয়ামী লীগের দোসর সাংবাদিক রাফি। আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে তোমার ফেসবুকে পোস্ট করা 5 আগস্টের আগের ছবি আমার সংরক্ষণে আছে খুব যত্ন সহকারে। জলের মধ্যে ছোট মাছ বেশি লাফালাফি করে। আওয়ামী লীগের দোসর তুমি। তোমার সব ইতিহাস আমাদের কাছে আছে। রোজি অন্যায় করে না, তাই টাকা ও কাউকে দেয় না। ভালো হওয়ার পরামর্শ থাকলো। নইলে পূর্ব ইতিহাস উন্মুক্ত হবে। তোমার পত্রিকার হেড অফিস, তোমার অভিযোগ আমি দিচ্ছি।
এবিষয়ে বিএনপি নেত্রী রুজি বলেন, রাফি আর রকি সাক্ষাতে আসেন, কথা হবে। চাঁদা চাইছেন জন্য তো উঠানো হইছে। কত টাকা চাঁদা দাবির প্রশ্নে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নাই। তিনি আরও বলেন, আপনাদের সাক্ষাতে এসে কথা বলতে সমস্যা কোথায়, এত বড় সাংবাদিক হইছেন সাক্ষাতে কথা বলতে পারেন না বলে ফোন কেটে দেন।
সাংবাদিক রাফি বলেন, নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে স্কুল মাঠে পশুর হাট বসিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী জেয়ারা খাতুন রুজি। এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে স্কুল মাঠ থেকে হাট সরিয়ে নেন ওই নেত্রী। এতে তার উদ্দেশ্যে ব্যত্যয় ঘটে যার ফলে তিনি এসব মন্তব্য করছেন।
তাছাড়া সংবাদ প্রকাশের পর সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বিএনপি নেত্রী তার অবৈধ হাট আয়োজন সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। এতে তার উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়ায় তিনি আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ছড়ানো শুরু করেছেন।