কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ‘মাঘ মাসের ঠাণ্ডায় মোর হাত-পাও খালি শিষ্ঠি লাগি আইসে। দিনত বারা (বের হওয়া) যায় না, রাইত ঠিকমতো ঘুমও হয় না। মাইসষে কম্বল পায় মোই পাংক নাই (আমি পাই না), কামাইও নাই বউ-ছাওয়া নিয়ে সমস্যায় আছগং।’ কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধরনি বাড়ি ইউনিয়নের ভ্যানচালক আমিনুল ইসলাম (৬৫)।
মাঘের শীত ও হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় কাবু সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের জনপদ। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দুর্ভোগে পরেছেন ছিন্নমূল, খেটে-খাওয়া, দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষরা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলার পাড় এলাকার কৃষক আইজল মিয়া (৬৭) বলেন, ‘কয়দিন থাকি জমিতে বোরো ধান লাগাচ্ছি। ঠান্ডা লাগার কারণে সর্দি-কাশ হইছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের আব্দুল কাদের (৭০) বলেন, ‘ঠান্ডা লাগার কারণে জ্বর হইছে, হাসপাতালে গেইছিলাম ওষুধ দিছে খায়া ভালো হয় নাই। তাই বাইরে ডাক্তারের কাছে এসেছি।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এখন পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস নেই আমাদের কাছে। পেলে জানানো হবে।