অনিল চন্দ্র রায়, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কোনো কারণ ছাড়া বিনা নোটিশে চাকরি থেকে ছাঁটাই, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মসহ নানা অভিযোগ তুলে কুড়িগ্রাম কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রেজাউল করিম খন্দকারের অপসারণের দাবি তুলেছেন চাকুরিচ্যুত ০৭ ভুক্তভোগী ।
সোমবার দুপুরে চাকুরিচ্যুত ভুক্তভোগীরা কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী ২ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে তারা এই দাবি তোলেন । পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আ.লীগের অর্থের জোগান দাতা হিসেবে পরিচিত। এই অধ্যক্ষ বিনা কারণে কোনো নোটিশ ছাড়াই চাকুরিচ্যুত করেছে একাধিক জনকে। যা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মানবিক দিক বিবেচনা না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। ঈদের আগে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মোর্শেদা বেগম বলেন, ‘আমি গত ২ বছর থেকে টিটিসিতে রান্নার- কাজ করতাম। কিন্তু নতুন অধ্যক্ষ স্যার এখানে জয়েন করার পর কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে চাকুরি থেকে বাদ দেয়। আমি এর বিচার চাই। ঈদের আগে আমি আমার সন্তান নিয়ে এখন কোথায় যাবো কীভাবে ঈদ করবো?’
অতিথি প্রশিক্ষক আফরোজা বেগম বলেন, আমি গেস্ট টিচার হিসেবে টিটিসিকে ক্লাস নিতাম। কিন্তু গত মাসের ২৮ তারিখ কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়। কোনো অগ্রিম নোটিশ ছাড়াই অধ্যক্ষ স্যার আমাদের চাকরি থেকে বাদ দেয়। আমি আমার চাকরি ফেরত চাই।
উল্লেখ্য, শ্রম আইন ২০০৬ (আচরণ) বিধিমালা মতে,কোনো কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করতে হলে তাকে লিখিতভাবে কারণ জানাতে হবে।