মাসুদ রানা, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় লাবনী আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের দুবলিয়া গ্রামের দোলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লাবনী ওই এলাকার ছাইদুল ইসলামের স্ত্রী এবং নীলফামারী সদর উপজেলার বেতলাগাড়ী ইউনিয়নের মোস্তাকিমের মেয়ে। তিনি এক সন্তানের জননী।
পরিবারের বরাতে জানা গেছে, সকালে পরিবারের লোকজন জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাবনীর মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বজনদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়; তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তারা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে বিভিন্ন সময়ে দাম্পত্য কলহের কারণে একাধিকবার বাবার বাড়িতে চলে যান গৃহবধূ। সর্বশেষ ২০ দিন আগে লাবনী নিখোঁজ ছিলেন। ওই নিখোঁজের ঘটনায় গত রবিবার (১৩ জুলাই) এলাকায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি আপোষে মীমাংসা হয় এবং তিনি স্বামীর বাড়িতে ফেরত আসেন। আর এর পরদিনই এমন ঘটনা ঘটলো।
এ বিষয়ে নিহতের স্বামী ছাইদুল ইসলাম বলেন, “এর আগে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কয়েকবার লাবনী বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিল। আমি উত্তরা ইপিজেডে চাকরি করি। সকালে কাজে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। সে কেন এমন করলো, কিছুই বুঝতে পারছি না।”
খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমূল হক বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।”