Friday, July 11, 2025
Homeরাজনীতিগতানুগতিক রাজনীতি নয়, বিএনপিকে দেশ বাঁচানোর রাজনীতি করতে হবে : ব্যারিস্টার শামীম...

গতানুগতিক রাজনীতি নয়, বিএনপিকে দেশ বাঁচানোর রাজনীতি করতে হবে : ব্যারিস্টার শামীম হায়দার

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

মোজো ডেস্কঃ
বিএনপি এই মুহূর্তে সর্ববৃহৎ দল বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, দেশ চালানোর অভিজ্ঞতা, ম্যাচউরিটি আছে বিএনপির। বিএনপিকে গতানুগতিক রাজনীতি করলে হবে না। দেশ বাঁচানোর রাজনীতি করতে হবে।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি এ কথা বলেন।

শামীম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন আওয়ামী লীগের লোকজন বা তার এলাইড পার্টির লোকজনকে অ্যারেস্ট করছে। তারা ওই ফ্রন্টে আছে। এই মুহূর্তে বিএনপির সঙ্গে দ্বন্দ্ব জড়িয়ে আরেকটা ফ্রন্ট ওপেন করার মতো নিউট্রালিটি, ব্যাকবোন অথবা স্ট্রাকচার তাদের নেই।

তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) যেহেতু বিগত সরকারের সময়ে এ্যাপয়েন্টেড, তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিদ্ধ রাখতে চাচ্ছে। তারা ধরেই নিয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, বিএনপির সঙ্গে সুসম্পর্ক করতে হবে। এটা খুব ন্যাচারাল এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী তকমা থেকে পুলিশকে বের হয়ে আসতে হবে। আর বের হয়ে আসার জন্য তারা এক সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে অ্যারেস্ট করবে এই জিনিসটি হবে না। এটা বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে হয় না।

শামীম বলেন, ৭১ সালের পরে জামায়াতকে ব্যান করা হয়েছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিসহ। কিন্তু জামায়াতকে ব্যান রাখা যায়নি, জিয়াউর রহমানের আমলে ধর্মভিত্তিক দলের মাধ্যমে জামায়াত আবার ব্যাক করেছে। মাত্র সাত বছরের ব্যবধানে। ব্যানের রাজনীতি বাংলাদেশে কখনই সফল হয়নি। জাসদকে ব্যান করা হয়েছিল, আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিল। সে জাসদ পরে আবার সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গেই জোট করেছে। ব্যান করে কোনো সমাধান হবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির বিশাল দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে ব্যান করার জন্য যে আন্দোলন হলো, সেখানে শক্ত হাতে বলে দেওয়া— যেকোনো দলকে তারা ব্যান চায় না, কোনো দল যেন ব্যান না হয়।

শামীম আরো বলেন, বিএনপির একটি স্টেটসম্যান রাজনীতি আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু কোনো একটা কারণে বিএনপি সেই সময় পারপ্লেক্স ছিল। রাজনীতির যে বলটা বিএনপির কাছে ছিল, এটা চলে গেছে অন্যদের কাছে। অন্যান্য সকল বিষয়ে বিএনপির গুরুত্ব কমে গেছে। যে কারণে ডিসেম্বরের ভোটের হুংকার চলে গেছে ফেব্রুয়ারিতে।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর