মোঃ মাহফুজুর রহমান সরকার, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট সক্রিয়। ঘোড়াঘাট উপজেলা ওসমানপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে থেকে আকিবুল ইসলাম(৪০) নামে এক দলিল লেখক সহকারীর একটি ডিসকভার ১১০ সিসি লাল কালো রঙের মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট চোর চক্রের সদস্যরা চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২ জুন ) দুপুর ১২ ঘটিকায়।দলিল লেখক সহকারী আকিবুল ইসলাম তার মোটর সাইকেলটি সাবরেজিষ্ট্রী অফিসের সামনে রেখে অফিসের ভিতরে যান।ফিরে এসে দেখেন যে তার মোটর সাইকেলটি নাই।
এই ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আবারো মোটরসাইকেল চুরি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ করে হাসপাতাল ও সরকারি ভবনের সামন থেকে গাড়ি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,কৃষি অফিস,বাজার ও মসজিদের সামনে থেকে ২৫টি মোটরসাইকেল চুরি ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় হাসপাতাল সরকারি অফিসে সিসি ক্যামেরা থাকলেও বেশির ভাগই অকার্যকর অবস্থায় আছে।
বিশেষ করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্যামেরা ছয় মাস ধরে অচল, যা যথাযথ সময়ে সচল না হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
স্থানীয় জনসাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি তুলেছে, যাতে ভবিষ্যতে চোরাই ঘটনা প্রায়ই ঘটতে না পারে।
ঘোড়াঘাটে মোটরসাইকেল চুরি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় জনগণ নিরাপত্তাহীনতার শিকার। পুলিশের তৎপরতার ছাপ দেখা যাচ্ছেনা। তবুও, কেবল আইনি পদক্ষেপ নয়,কার্যকর সিসি ক্যামেরা, নিয়মিত নকশাল পর্যবেক্ষণ ও সচেতন জনসেবা একীভূত করলে এ ধরনের চুরি আটকানো সম্ভব।
সিসি ক্যামেরা মেইনটেনেন্স ও আপগ্রেড দ্রুত সক্রিয় করা।
নিয়মিত নিরাপত্তা টহল হাসপাতাল, বাজার, অফিস এলাকার গাড়িপথে।জনসচেতনতা পার্কিংয়ে গাড়ি কখনো অরক্ষিত না রাখা।
চোরগোষ্ঠী শনাক্তে জনতার সহযোগিতা নজরদারি ও তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধান কার্যকর করা জরুরি বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি ও হাসপাতালের কর্মকর্তা উভয়ই জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং চোর সম্রাটদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অচল থাকা সিসি ক্যামেরাগুলি দ্রুত সচল করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুরক্ষা জোরদার করা হবে।