নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে এক ইজারাদারকে টোল তুলতে বাধা প্রদান, নিলাম ডাকের টাকা কমিয়ে দিতে উৎকোচ ও নগদ টাকা জমাদানের রিসিভ না দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভুগী ইজারাদার রফিকুল ইসলাম ।
বৃহষ্পতিবার(২১ নভেম্বর) দুপুরে ডোমার রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভুগী।এসময় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ইজারাদার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,চলতি বছরের গত ২ফেব্রæয়ারী স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেখে ডোমার পৌরসভার উন্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠানে রিক্সা ভ্যান এক লক্ষ ৬০হাজার ও কাচাঁবাজার ২৬লক্ষ টাকায় এক বছরের জন্য নিলাম ডেকে নেই।
রিক্সা ভ্যান বাবদ ব্যাংক একাউন্টে ৫০হাজার ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করি।কাচাঁবাজারের বাবদ ব্যাংকে ৮লক্ষ ও কিস্তিতে নগদ ৮লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পৌরসভা হিসাব রক্ষক সিফাতের কাছে জমা দেই। বিষয়টি পৌর প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপিকে অবগত করে টাকা জমা দেই। এবং তৎ সময়ের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান জুয়েল নিলাম ডাকের টাকা কমিয়ে দিতে ৩লক্ষ টাকা আমার কাছ থেকে নেয়।কিন্তু বর্তমানে আমাকে রিক্সা ভ্যান ও কাচাঁ বাজারের টোল তুলতে দিচ্ছে না। বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা আমার কাছে ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়।আমি প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন করছি আমার নিলাম ক্রয়ের হাট বাজারে টোল তুলতে যেন কোন বাধা না আসে।
ইজারাদার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. মায়া বলেন,হাট বাজার ইজারা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ২০লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহন করি। টোল আদায় বন্ধ থাকায় ঋণের টাকার কিস্তি পরিষোধ করতে পারছি না। বর্তমানে সংসার খরচ চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমান জুয়েল টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,আমি তার কাছ থেকে কোন টাকা গ্রহন করেনি।সেই আমার কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা হাওলাদ নিয়েছে। এখন টাকা চাওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছে।
পৌর এ্যাকাউন্টেট সিফাত বলেন, সে আমাকে কোন টাকা দেয়নি। ভ্যানের জমাকৃত ৭৫হাজার টাকা সে ফেরত নিয়েছে। আর ৫০হাজাার টাকা জমা রয়েছে রাজস্ব খাতে।
পৌর প্রশাসক (এসিল্যান্ড) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি বলেন, নিলাম ক্রয়কারী ইজাদার নিলাম শর্ত ভঙ্গ করেছেন। সে টাকা পরিষোধ না করায় টোল আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ডোমারে ইজাদারকে টোল তুলতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
Facebook Comments Box