আব্দুল হাই, নাগেশ্বরী (প্রতিনিধি) কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ আদর্শ জনতা বিদ্যাবিতান উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ কমিটির ২ সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির এডহক কমিটির সভাপতি শাহিমা খাতুন ও বিদায়ী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে।
নিয়োগ কমিটির সদস্যেদের মতামত ছাড়াই নিজের পছন্দমত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ন অবৈধ বলে দাবি করছে কমিটির সদস্য মোঃ শাহীন আলীম ও শিক্ষক প্রতিনিধি মোছাঃ কানিজ ফাতেমা।
মোঃ নুর হোসেনকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ না দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৬ মে (মঙ্গলবার) উভয়ের যোগ্যতা ও এমপিও কাগজপত্র যাছাই বাছাই করা হয়। জুনিয়র শিক্ষক উমানান্দ রায়ের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে প্রাথমিক ভাবে অবৈধ প্রমাণিত হয় বলে জানা গেছে।
যাছাই বাছাইয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে আমীর মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী,জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল হামিদ,নাগেশ্বরী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মোখলেছুর রহমান,উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম,সেক্রেটারী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম ছাড়াও উপজেলার শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলো তিনি জানান নুর হোসেন সাহেব ৮ অষ্টম গ্রেড আর উমানান্দ ৯ গ্রেড এছাড়াও যোগ্যতার দিক দিয়ে নুর হোসেন সাহেবের বিএড সনদ থাকলেও উমানান্দের তা নেই। সব দিক দিয়ে নুর হোসেন সাহেব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ার দাবি রাখেন। কাগজ যাছাই শেষ হয়েছে বিধি মোতাবেক আজ জেলা শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন প্রেরণের করা হবে জানান।
গত ২১ এপ্রিল অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার অবসর গেলে প্রধান শিক্ষকের পদটি শুন্য হয়।