রংপুর নিউজঃ
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকারের বাড়ির সামনে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলা শহরের রাঘপপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
মাসুদ খন্দকারের দাবি, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও গুলি করা হয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, দলীয় কোন্দলে মারপিট ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তবে কোনো গুলির ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকারের বাড়ির সামনে নেতা-কর্মীরা ভীড় করছিলেন। রাত আটটার দিকে পাবনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফরহাদ জোয়াদ্দার মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সেখানে আসেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে মোটরসাইকেলের আরও একটি বহর সেখানে আসে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি গুলি বর্ষণ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় বাড়ির সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।
এ বিষয়ে মাসুদ খন্দকার বলেন, দিনের অধিকাংশ সময়ই তাঁর বাড়ির সামনে শতাধিক নেতা-কর্মী অপেক্ষা করেন। ঘটনার সময়ও নেতা-কর্মীরা ছিলেন। তিনি তখন বাড়ির ভেতরে ছিলেন। এর মধ্যেই হঠাৎ মোটরসাইকেলযোগে একদল দুর্বৃত্ত বাড়ির সামনে এসে অতর্কিত গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে। আহত ব্যক্তিদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
মাসুদ খন্দকার অভিযোগ করেন, ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালিয়েছে। আমি এর সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এর জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। প্রাথমিকভাবে একটি ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে গুলির কোনো আলামত মেলেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।