মোঃ বুলবুল ইসলাম , কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি’ শীর্ষক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কুড়িগ্রামের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি উল্টো প্রশ্ন তুলে জানতে চান, “আপনারা কি ইঞ্জিনিয়ার?”
বুধবার (১৬ জুলাই) কুড়িগ্রাম জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে এই ঘটনা ঘটে। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠের উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি তামজিদ হাসান তুরাগ এবং দৈনিক জনকণ্ঠ ও এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি মনোয়ার হোসেন লিটন।
সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন লিটন বলেন, “আমরা কুড়িগ্রামের ৭৪টি ইউনিয়নে প্রকল্পের অধীনে নির্মিত ল্যাট্রিন বিতরণ ও নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। সে বিষয়ে প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি রেগে গিয়ে প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করেন।”
তামজিদ হাসান তুরাগ বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের দায়িত্ব হলো অভিযোগের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো ও তথ্য নেওয়া। কিন্তু তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলেন ‘কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে’ এবং ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।”
অবস্থা সামাল দিতে তখন এগিয়ে আসেন কুড়িগ্রাম জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্কলনিক প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকরা তথ্য চাইতেই পারেন। সেখানে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে— এমন বাধ্যবাধকতা নেই, যদি না সেটি খুবই সংবেদনশীল বিষয় হয়। আর অনিয়ম হলে সেটি তদন্ত করা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।”
প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী মো. তবিবুর রহমান তালুকদার বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি আমি কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে দেখবো। প্রকল্প তদারকির জন্য জেলা-উপজেলা সমন্বয়কারীরা রয়েছেন।”
স্থানীয় সাংবাদিক মহল এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রকল্পে অনিয়ম তদন্ত ও কর্মকর্তার আচরণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।