ডেস্কঃ
আল্লাহ তায়ালা বিপদের মাধ্যমে বান্দাকে পরীক্ষা করেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন।’ (সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত : ১৫৫)
এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪৫)
যখন আল্লাহ তার বান্দার কোনো কল্যাণের ইচ্ছা করেন, জান-মাল ও সন্তান বিষয়ে তাদেরকে পরীক্ষায় ফেলেন, যাতে তা তাদের গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ হয়। নিঃসন্দেহে বলা যায় এটি তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতে উত্তম।
বিপদের সময় একজন মুমিন যেসব কাজ করতে পারেন তুলে ধরা হলো এখানে—
১. বিপদে পড়লে ধৈর্যধারণ করা উচিত। রাসূল সা. বলেছেন, মুমিনের বিষয়টি খুবই বিস্ময়কর। যখন সে খুশি হয় এবং কৃতজ্ঞতা জানায় এবং যখন সে বিপদগ্রস্ত হয় এবং ধৈর্যধারণ করে। উভয় ক্ষেত্রই তার জন্য লাভজনক।
২. বিপদের সময় আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া যাবে না। বরং আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের প্রত্যাশা রাখতে হবে। কারণ, বাহ্যিক পরিস্থিতি ও উপকরণের বাইরেও অনেক কিছু আছে। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই সাময়িক বিপদ থেকে মুক্তি দেবেন। বিপদের সময় নিরাশ হওয়া মুমিনের কাজ নয়।
৩. বিপদের কারণে শরিয়তের অন্যান্য বিধি-বিধান পালনের ত্রুটি করা যাবে না।
৪. বিপদ থেকে উদ্ধার এবং আল্লাহর সাহায্যের জন্য দোয়া করতে হবে। বিপদ থেকে উদ্ধারে নিজের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে।
৫. বেশি বেশি ইস্তিগফার পাঠ করতে হবে।