Tuesday, May 13, 2025
Homeরাজনীতিরাজনৈতিক দলগুলো চাইলে বা আদালতের রায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে -...

রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে বা আদালতের রায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে – আসিফ নজরুল

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমনসহ অন্য আইনগুলো রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আইন কোনো সমস্যা নয়। রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় দিলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা যাবে।

গতকাল শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এসব কথা লিখেছেন আইন উপদেষ্টা। তিনি লেখেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি।

প্রশ্ন রেখে আইন উপদেষ্টা লেখেন, আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করব– এটা কীভাবে সম্ভব! উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন– এ নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয়, তার দায়-দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেক উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।

তিনি আরও লেখেন, আমাদের এটি মনে রাখা প্রয়োজন, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমনসহ অন্য আইনগুলো আছে। কাজেই আইন কোনো সমস্যা না। রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালতের এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় এলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি।

এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, একটি দলের অ্যাক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ছাত্ররা রাজি ছিল না– এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। কেবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার। আমি স্পষ্টভাবে এ আইনের অনেক ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম।

তিনি লেখেন, নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে ছিল স্বভাবতই। দল হিসেবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে এক উপদেষ্টার জবাব ছিল, ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো পশ্চাৎপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কিনা? এ যুক্তি যিনি দিয়েছিলেন, একটি দলের অ্যাক্টিভিস্টরা আজ সমানে তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রদের কুপোকাত করতে। অথচ তার সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। মিছে বিরোধ লাগানোর অপচেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।

মাহফুজ আলম লেখেন, বলে রাখা ভালো, দু’জন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের উপদেষ্টাও (একজন মারা গেছেন) আমাদের বক্তব্যের পক্ষে ছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টাও পক্ষে ছিলেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে কথা হয়েছে। দল হিসেবে লীগের বিচারের প্রভিশন অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন উক্ত উপদেষ্টা। তাঁকে ধন্যবাদ।

তিনি লেখেন, মিথ্যা বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু এখন সেটাও হতে দিবেন না। দোষ আমাদেরও কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম। পুনশ্চ: আমরা নির্বাচন পেছাতে চাই না। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই।

তথ্য উপদেষ্টা লেখেন, আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি, সবার পরামর্শ নিয়ে করেছি। বরং উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে তাদের সঙ্গেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দ ঘোষ!

তিনি আরও লেখেন, আমরা উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই। উক্ত দলের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক এবং প্রাগম্যাটিক ভূমিকা রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। আমরা চাই উক্ত দল ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসেবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তাদের সঙ্গে চলবে। এ প্রজন্মকে হতাশ করবেন না। এ প্রজন্ম এ দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।

 

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর