Home গাইবান্ধা আর.এ. গণি স্কুল ও কলেজে সর্বকনিষ্ঠ প্রভাষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ

আর.এ. গণি স্কুল ও কলেজে সর্বকনিষ্ঠ প্রভাষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ

আর.এ. গণি স্কুল ও কলেজে সর্বকনিষ্ঠ প্রভাষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ

আনোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার আর.এ. গণি স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সর্বকনিষ্ঠ প্রভাষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই একে স্পষ্টভাবে “ক্ষমতার অপব্যবহার” হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন—এটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষের পদ শুন্য হওয়ার পর গত ২৭ জুন ২০২৪ সালে তৎকালীন গভর্নিং বডির সভাপতি মাহাবুবা বেগম বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক সরকারকে সর্বসম্মতিক্রমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি প্রতিষ্ঠানটির শৃঙ্খলা ফেরাতে নানা প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, পাশাপাশি উন্নয়নের স্বার্থে অসমাপ্ত কাজসমূহ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করেন।

তিনি শুধু প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় নয়, বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিনটি মামলার বাদী হয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় নতুন গভর্নিং বডি গঠিত হলে সভাপতির দায়িত্ব নেন রাশেদা বেগম।

কিন্তু গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে, গত ১৬ জুন ২০২৫ তারিখে, রাশেদা বেগম একক সিদ্ধান্তে আব্দুর রাজ্জাক সরকারকে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে অব্যাহতি দেন। অব্যাহতির চিঠি পাঠানো হয় একজন অফিস সহায়কের মাধ্যমে, যা নীতিগতভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ। সেইসঙ্গে জ্যেষ্ঠতা উপেক্ষা করে সর্বকনিষ্ঠ প্রভাষক শাহজাহান সাজুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন তিনি।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সিদ্ধান্তে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং অব্যাহতির কোনো অনুলিপিও বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়নি বলে জানা গেছে। ফলে ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে আব্দুর রাজ্জাক সরকার দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, “যদি দায়িত্বহীনতা থাকত, তবে পদচ্যুতির সিদ্ধান্ত পূর্বেই নেওয়া যেত। গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হবার মুখে এসে এমন তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত সন্দেহজনক।”

তারা আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালের পরিপত্র অনুযায়ী, জ্যেষ্ঠ প্রভাষকই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিধান রয়েছে। সেখানে জ্যেষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও কনিষ্ঠকে দায়িত্ব দেওয়া প্রশাসনিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।

সচেতন মহলের দাবি, অবিলম্বে বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করুক প্রশাসন।

Facebook Comments Box

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here