মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ‘চর উন্নয়ন কমিটি, উলিপুর উপজেলা শাখা’ লেখা সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। রবিবার (১১ মে) বিকালে সাইনবোর্ডটি লাগানো হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবরে সাইনবোর্ডটি ওই ভবনের চালে লাগানো অবস্থায় ছিল।
‘চর উন্নয়ন কমিটির’ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সোলায়মান আলী সরকার এবং যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদুল হাবীব নয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাইনবোর্ড লাগানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তবে তাদের দাবি, অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা পড়ে থাকা ভবনটি পরিষ্কার করে পরিবেশ ভালো রাখার জন্য তারা ভবনটিতে কমিটির সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন। এতে করে আশেপাশের দোকানদার ও পথচারীরা দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন।
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই কার্যালয়টিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুড়ে যাওয়া কার্যালয়টিতে বর্তমানে দরজা জানালা নেই।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কুড়িগ্রামসহ দেশের ‘চরাঞ্চলের উন্নয়নের লক্ষ্যে’ চর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাবিতে কুড়িগ্রামে ‘চর উন্নয়ন কমিটি’ গঠন করা হয়। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবুকে আহ্বায়ক এবং সদস্য আশরাফুল হক রুবেলকে সদস্য সচিব করে ‘চর উন্নয়ন কমিটি’ কুড়িগ্রাম জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন সংগঠনটি বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপজেলা কমিটি গঠন করে সভা সমাবেশ করছে সংগঠনটি। বিএনপি ও সমমনা লোকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হলেও দায়িত্বশীলদের দাবি, এটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলা ‘চর উন্নয়ন কমিটির’ আহ্বায়ক সোলায়মান আলী সরকার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদুল হাবীব নয়ন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও কমিটির বেশিরভাগ সদস্য বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ও উপজেলা ‘চর উন্নয়ন কমিটির’ আহ্বায়ক সোলায়মান আলী সরকার বলেন, ‘ভবনটি নোংরা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এতে করে আশেপাশের ব্যবসায়ী ও লোকজনের সমস্যা হয়। আমরা এটিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চর উন্নয়ন কমিটির অফিস কক্ষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই। আইনি কোনও বাধা থাকলে আমরা সরে যাবো।’