Thursday, July 31, 2025
Homeপঞ্চগড়খাস জমি দখলের পাঁয়তারা—ভূমিহীন পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশা

খাস জমি দখলের পাঁয়তারা—ভূমিহীন পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশা

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

ইকবাল বাহার, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাতপাড়ায় খাস জমিতে তিন দশক ধরে বসবাসরত এক ভূমিহীন পরিবার দখলের হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ৫নং চাকলাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম রবি ও তার ভাই মো. মমিনুল ইসলাম কর্তৃক ওই জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ চার মাস আগেই এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

অভিযোগকারী মর্জিনা খাতুন জানান, পঞ্চগড় মৌজার খতিয়ান নং ০১ এর ১৫৩৫৭ (০.১০৮৭ একর) ও ১৫৩৫৬ (০.১৪৪ একর) দাগভুক্ত জমি সম্পূর্ণ খাস হিসেবে চিহ্নিত। তার পিতা ও পরিবার বিগত ৩০ বছর ধরে এই জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাই ওই জমি নিজেদের দাবি করে নির্মাণকাজ শুরু করলে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযোগ দেওয়া হয়। ভূমি অফিস তাৎক্ষণিকভাবে দখলের কাজ বন্ধ করলেও এরপর থেকে শুরু হয় হুমকি ও হয়রানি।

মর্জিনা খাতুন জানান, “চার মাস আগেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং বিবাদীরা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জমি ছাড়তে রাজি না হলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, একাকী পেলে দেখে নেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে।”

গত ৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে বিবাদীরা সরাসরি ঘটনাস্থলে এসে গালিগালাজ ও মারমুখী আচরণ করে, এবং জোরপূর্বক জমি ছাড়ার হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, “আমরা ভূমিহীন মানুষ, এই খাস জমিই আমাদের একমাত্র আশ্রয়। এখন সেটাও কেড়ে নিতে চাইছে। প্রশাসনের কাছে অনেক গেছি, কিন্তু আজও কোনো বিচার পাইনি।”

এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে ভূমিহীন পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দখল চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও মানবাধিকারকর্মীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম রবি বলেন,
“এলাকায় অনেকেই ছাদপিটা (পাকা) ঘর তৈরি করেছে। আমি শুধু একটি টিনসেড ঘর করেছি।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজি বলেন,
“এক নম্বর খাস খতিয়ানের জমির বিষয়ে আমরা কাউকে কোনোভাবে মঞ্জুরি (লিজ বা অনুমতি) দেইনি। যদি কেউ সেখানে দালান বা স্থায়ী নির্মাণ করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর