আনোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিএনপি নেতা ইলিয়াস (৪২) হত্যা ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রসহ স্বপ্না বেগম (৩৫) নামের এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র বেকি, ছুড়ি, লোহার রডসহ নিজ বাড়ি থেকে স্বপ্না বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। স্বপ্না বেগম এজাহার নামীয় ১ নম্বর আসামি সুমন মিয়ার বড় ভাই নীল মিয়ার স্ত্রী।
এর আগে, সোমবার বিকেলে নিহত ইলিয়াস মিয়ার
স্ত্রী লিপি বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত ইলিয়াস মিয়া উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র খানাবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে। তিনি সর্বানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী প্রবাসী মো. তারাজুল ইসলামের সঙ্গে ইলিয়াস মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলছিল। প্রবাসে থেকেই তারাজুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে ইলিয়াস মিয়াকে হত্যার ছক কষেন এবং মামলার প্রধান আসামি সুমন মিয়াকে অর্থ ও পরামর্শ দেন।
গত শুক্রবার (৬ জুন) রাত ১১টার দিকে ইলিয়াস মিয়া তার মৎস্য খামার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে জামগাছ তলায় পৌঁছালে সুমন মিয়া ও তার সহযোগীরা লাঠিসোঁটা, রড ও বেকি দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে রাতেই তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার প্রধান আসামি সুমন মিয়া একই গ্রামের মজিবর রহমান সর্দারের ছেলে। মামলার অন্যান্য আসামিরা সক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, “শনিবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইলিয়াস মিয়া মারা যান। তার স্ত্রী সোমবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”