আনোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিয়ের সবেমাত্র একমাস অতিবাহিত। এখনো শুকায়নি হাতের মেহেদীর রং। এরই মধ্যে লাশ হলো জরিনা বেগম (১৮) নামে এক নববধূ। মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে স্বামীর বসতঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জরিনা বেগম উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের সরকারপাড়ার মুন্নাফ মিয়ার স্ত্রী এবং একই উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের লালচামার গ্রামের নুরনবী মিয়ার মেয়ে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় স্বামীর বাড়িতে জরিনা বেগম আত্মহত্যা করে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, এক মাস আগে জরিনা বেগমের সাথে পারিবারিকভাবে মুন্নাফ মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। জরিনার বিয়ের আগে গোপন প্রেম ছিল বলে স্বামী মুন্নাফের মনে গভীর সন্দেহ ও ক্ষোভ ছিল। এর সঙ্গে মুন্নাফ মিয়ার মাদকাসক্ত স্বভাব যুক্ত হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত।
সোমবার রাতের যে কোন সময় স্বামীর বসতঘরের শয়নকক্ষে বাঁশের ধরনার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে জরিনা বেগম আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সংবাদ পেয়ে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আলমগীর ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতসহ মরদেহ উদ্ধার করেন
সুন্দরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাকিম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে তদন্ত চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’