মোঃ আসতারুল আলম, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও এক শিক্ষকের সাত দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। রোববার (৪ মে) সকালে উপজেলার সরকারি মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের এ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন লুকিয়ে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। উচ্চতর গণিত বিষয়ের প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর সে চুপিসারে তার ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপে পাঠিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই গ্রুপে প্রশ্নের সমাধান আসতে থাকে, যা দেখে খাতায় লেখা শুরু করে পরীক্ষার্থী। পরে ট্যাগ কর্মকর্তা বিষয়টি ধরে ফেলেন এবং ছাত্রটিকে বহিষ্কার করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেহা তুজ জোহরা জানান, অভিযুক্ত ছাত্রের মোবাইল ফোন ঘেঁটে ৫০ সদস্যের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ শনাক্ত করা হয়, যেখানে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র পাওয়া যায়। পরে পুলিশের সহায়তায় গ্রুপের সঙ্গে জড়িত এক শিক্ষককে শনাক্ত করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের গণিত শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে সাত দিনের জেল ও দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী এ জেড রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের ছাত্র।
কেন্দ্র সচিব সুভাষ চন্দ্র রায় জানান, ঘটনাটি একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলার ২০৩ নম্বর কক্ষে ঘটে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পর ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
একই দিনে কেন্দ্রটিতে আরও এক পরীক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল। রোববার ছিল উচ্চতর গণিত বিষয়ের পরীক্ষা।