পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ইউরো এশিয়া টি লিমিটেড নামের চা কারখানার অবৈধ পন্থায় বহনকৃত ২৫০ বস্তা চা জব্দ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও টি সফ্ট সফ্টওয়ারেরর মাধ্যমে ২ নং সদর ইউনিয়ন এলাকায় ঢাকা তেতুলিয়া মহা সড়কে এই অসচ্ছ চায়ের গাড়ি জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ড এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মোঃ সরওয়ার হোসেন- এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি মহাদয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এর প্লানিং কর্মকর্তা সুমন সিকদার সাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে হাতে লেখা ম্যানুয়াল চালান তৈরী না করে নিলাম বহিঃর্ভূত ও অবৈধ চা বহন রোধ করতে “টি সফ্ট” ( www.teasoft.com.bd) এর মাধ্যমে ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে সফ্টওয়ারের মাধ্যমে ডিজিটাল-ই চালান ও ইনভয়েস তৈরি করে তা নিলামে পাঠানোর জন্য প্রত্যেক চা কারখানাকে নির্দেশ জারি করে। এছাড়াও বাংলাদেশ চা বোর্ড টি সফ্ট সফ্টওয়ার পরিচালনা করার জন্য পঞ্চগড়ের প্রত্যেক চা কারখানা, ওয়্যারহাউজ ও ব্রোকার্স হাউজকে সাথে নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এ নিয়ম বেশিভাগ চা ফ্যাক্টরি এমন নির্দেশ মানলেও অনেক চা করখানা বাংলাদেশ চা বোর্ড এর নিয়ম তোয়াক্কা না করেই “টি সফ্ট” এর মাধ্যম ছাড়াই চা ডেসপাস করে আসছিল। যা একদম নিয়ম বহিঃর্ভূত ও এমন মাধ্যমে চা বহনের জন্য সরকারের অনেক রাজস্ব ফাঁকি দেয় এমন চা কারখারগুলো।
এক নজরে টি সফ্টঃ
টি সফ্ট এমন একটি সফ্টওয়ার যা বাংলাদেশ চা বোর্ড এর ডিজিটাল টি ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম। যেখানে চায়ের ইনভেনটরি, কৃষকদের কাঁচা পাতা থেকে শুরু করে চা ওয়্যারহাউজিং পর্যন্ত হিসেব রাখতে পারে। এছাড়া এই সফ্টওয়ারে রয়েছে কুরিয়ার ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম, যেখানে চা বহনকৃত গাড়িগুলো ট্রাকিং করতে পারে, কিউআরকোড ও বারকোড সম্বলিত সিস্টেম এর জন্য চা চোরাচালান, নিলামবহির্ভূত ও অবৈধ চা বহনকৃত গাড়িগুলো সহজেই শনাক্ত করা যায়।
এমন অবৈধ পন্থায় চা বহনে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অপরদিকে চায়ের মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন_ স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে চা বহনকৃত একটি গাড়ি আটক করা হয়। গাড়িটি থানা হেফাজতে রয়েছে।
উল্ল্যেখ যে_ এমন অবৈধ পন্থায় চা বহনে পঞ্চগড় থেকে প্রতি মাসে বিপুল পরিমান সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এমন একটি বড় কাভার্ডভ্যানে সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ ২৯৯০০/- টাকার ভ্যাট, ট্যাক্স, চা বোর্ডের টি সেস ব্রোকর্স চার্য সহ অনেক টাকা ফাঁকিতে চলে যায়। এর আগেও এমন অনেক চায়ের গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এখন চা বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন আটককৃত চায়ের গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।