মাজহারুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা(নীলফামারী): নীলফামারীর ডিমলা সদরের জমুদ্দির চৌপতি
এলাকার মৃত দুলু মিয়ার ছেলে শাহিনুর ও তার ভায়রা রশিদুল ইসলাম বলেন,
ক্রয়সুত্রে(দলিলকৃত)০৫ শতাংশ জমি ২০১৭ সাল হতে ভোগ দখলে থাকা অবস্থায়।
বাবুরহাট গ্রামের মৃত রোস্তম আলীরছেলে রহিম খান ওয়ারিশ সুত্রে জমিটির
দাবি করে। কিন্তু তার দাবি যৌক্তকি না হওয়ায় স্থানয়িভাবে বিষয়টি আপোষ
মিমাংসা না হওয়ায় রহিম খান জমির দাবি করে নীলফামারী বিজ্ঞ আদালতে
শাহিনুর ও তার ভায়রা রশিদুল ইসলামের নামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তিতে রহিম খানের ছেলে লিটন খা জমিটির উপড় বিজ্ঞ আদালতে
১৪৪/১৪৫ আবেদন করলে। ডিমলা থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান
করেন। উক্ত নোটিশ প্রদানের পরেও লিটন খা গত(১৫ নভেম্বর) হটাৎ শাহিনুরের
প্রাচীর ঘেরা জমিতে লিটন খা জমি দখল চুক্তি করা জৈনিক ব্যক্তিদের যোগ
সাজশে ও তাদের সহায়তায় আদালতের নির্দেশ ও থানা পুলিশের নোটিশ
অমান্য করে জোর করে একটি টিনের চালা উঠিয়ে তাদের নামে সাইন
বোর্ড ঝুলিয়ে অবস্থান করা শুরু করে। পরবর্তিতে নিরিহ শাহিনুর কোন
উপায় অন্ত না পেয়ে আিিন সহায়তার জন্য ডিমলা থানায় একটি লিখিত
অভিযোগ করলে ডিমলা থানার পরিদর্শক(তদন্ত)আব্দুর রহিম সাব ইন্সপেক্টর নুর
ইসলামকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। এসআই নুর ইসলাম
ঘটনাস্থল তদন্তকালে অভিযোগের সত্যতার প্রাথমিক প্রমান পেলে। উপস্থিত
লিটন খা কে অন্যের ভোগ দখলীয় জমিতে জোর পূর্বক ঘর উত্তোলন করা
আইনগত অপরাধের কারনে আপনাকে থানায় যেতে হবে। থানায় নিয়ে যাওয়ার
কথা শোনা মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী অসুস্থ্যতার ভান করে লিটন খা
মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এবং জমি দখলের চুক্তি নেয়া জৈনিক ব্যক্তিরা পুর্ব
পরিকল্পিত অনুযায়ী ক্যামেরা রেডি রেখে তার ভিডিও ধারন করে। এবং
চুক্তিকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে অগ্রিম ২ লাখ টাকা নিয়ে বাকি ৩ লাখ
টাকা লিটনের নিকট আদায়ের জন্য ও পরিকল্পিত ভাবে থানা পুলিশকে
ফাঁসানোর জন্য সেই ভিডিও বিভিন্ন খানে সরবরাহ করেন। এবং তাদের কু-
পরামর্শে রহিম খানের ছেলে লিটন খা, তার স্ত্রী লায়লা বেগম ও পুত্রবধু
জেসমিন আক্তারকে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করান।
উল্লেখ্য, জমি দখলের চুক্তি নেয়া চক্রটি এলাকায় অবৈধ জমি দখল, জাল দলিল,
জাল খারিজ ও বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে সিল মোহর
তৈরি করে এসব অপবর্মের সাথে দির্ঘদিন হতে জড়িত। মূলত তাদের
অপকর্মের প্রস্তাবে থানা পুলিশ রাজি না হলেই তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী
পুলিশকে ফাঁসানোর জন্যই এই ফাঁদ তৈরী করেন। যা তদন্ত করলেই বেড়িয়ে
আসবে। এবং ইতি পূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় মানব বন্ধন বিভিন্ন
দপ্তরে মার্চ পিটিশন করলেও এসব কাজের মূল হোতারা ধরা ছোয়ার বাহিরেই
থেকে যায়। এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসি ফজলে এলাহী বলেন,সেখানে
পুলিশের সাথে নহিম থানের পরিবারের কারো সাথেই পলিশের ধস্তাধস্তি বা
কোন ধরনের ঘটনাই ঘটেনি, যাহার সম্পুর্ন ভিডিও চিত্র ধারন করা রয়েছে।
এটি একটি সাজানো নাটক।