মাসুদ রানা, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫–৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গত ১১ জুলাই রাতে খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের কাচিনীয়া বাজারে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়ার অনুসারীরা মনোনয়নপ্রত্যাশী কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় আংগারপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আজিজার রহমান ভুট্টু বুধবার দিবাগত রাতে খানসামা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিনাজপুর- ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক রবিউল আলম তুহিনসহ ৬০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ৭০–৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ও রাতে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২৫–৩০ জনকে গুরুতর আহত করে। প্রায় ৫০টির বেশি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় এবং মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগও রয়েছে। মামলায় প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী আজিজার রহমান ভুট্টু বলেন, ‘আমরা পরিকল্পিতভাবে হামলার শিকার হয়েছি। দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
অন্যদিকে মামলায় অভিযুক্ত জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক রবিউল আলম তুহিন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মামলা করা হয়েছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে খানসামা থানার ওসি নজমূল হক বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’