ইকবাল বাহার, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের পানিমাছ পুকুরি গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়েছে মোশারফ হোসেন নামে এক কৃষক পরিবার। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট এই আগুনে পুড়ে গেছে তাদের বসতঘর, আসবাবপত্র, পোশাক-আশাক ও খাদ্যসামগ্রী। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর নিঃস্ব হয়ে পড়া পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নিতে ঘটনাস্থলে যান জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা পরিবারটির হাতে শুকনো খাবার, কম্বল এবং নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন।
জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইকবাল হোসাইন বলেন, “মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছি। সাধারণ মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
সহায়তা প্রদানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মফিজ উদ্দীন, সদর উপজেলা আমীর সফিউল ইসলাম, সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ, হাফিজাবাদ ইউনিয়ন সেক্রেটারি মনির হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা আবু সাঈদ ও মনিরুল ইসলাম মোল্লা।
ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করে ক্ষতিগ্রস্ত মোশারফ হোসেন বলেন, “দুপুরে হঠাৎ করে ঘরে আগুন লাগে। দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা স্থানীয়ভাবে পানি ও বালি ফেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করা হয়েছিল, কিন্তু তারা ঘটনাস্থলে আসেনি। পরে আর কোনো খোঁজও নেয়নি। তবে জামায়াতের নেতারা আমাদের খোঁজ নিয়েছেন, সহায়তাও করেছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
স্থানীয় বাসিন্দারাও অভিযোগ করেছেন, আগুন লাগার পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলেও তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি। সময়মতো সহায়তা পেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমানো যেত বলে তারা মনে করেন।
তবে এ বিষয়ে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন জানান, “আমরা খবর পেয়েই গাড়ি রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে কেউ ফোন করে জানান যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই আমাদের ইউনিট ফিরে আসে।”