ইকবাল বাহার, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড় জেলায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে দুটি ভিন্ন স্থানে এক শিশু ও এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তেঁতুলিয়ায় পরিত্যক্ত ভবনের টয়লেট থেকে ছয় বছরের শিশু আল হাবিব এবং দেবীগঞ্জে ধানক্ষেত থেকে সুলতানা আক্তার রত্না নামে এক কলেজছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উভয় ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রাথমিকভাবে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যক্ত ভবনের ভাঙা টয়লেট থেকে স্থানীয় শিশু আল হাবিবের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে শিলাইকুঠি গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, বিকেলে খেলতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি হাবিব। সন্ধ্যার পর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের পুরনো ভবনের পেছনে ভাঙা টয়লেটে তার মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। শার্ট দিয়ে গলা পেঁচানো ছিল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল স্পষ্ট।
বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তারেক হোসেন জানান, খবর পেয়ে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি মুসা মিয়া বলেন, “এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে।”
এর পরদিন বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে পাওয়া যায় সুলতানা আক্তার রত্না (২০) নামের এক তরুণীর মরদেহ। তিনি দেবীগঞ্জ মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
রত্নার বাবা রবিউল ইসলাম জানান, রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরে তিনি মেয়ের কাছ থেকে খাবার নেন। রাত দেড়টা পর্যন্ত সে জেগে ছিল। সকালে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে খবর পান ধানক্ষেতে একটি মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে—গিয়ে দেখেন সেটি তারই মেয়ে।
ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় একটি কাপড়ের ব্যাগ, যাতে দুটি সেদ্ধ ডিম ও তার পরনের কাপড় ছিল। মোবাইল ফোন পাওয়া না গেলেও কভারের অংশ ছিল রত্নার হাতে।
দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, “মরদেহের গলায় চিহ্ন রয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড বলেই আমরা মনে করছি। সিআইডি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে।”