ইকবাল বাহার, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে চেক জালিয়াতি, জমির জাল দলিল তৈরি এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে শহরের পুরাতন ক্যাম্প এলাকার পঞ্চগড় মিডিয়া হাউজে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মির্জা আব্দুল বাকী। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালে তিনি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৩০.৬২ শতক জমির মধ্যে ৫ শতক বিক্রি করেন। এরপর ২০২২ সালে বাকি জমি বিক্রির উদ্যোগ নিলে জানতে পারেন, স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ দেলদার রহমান দিলু ভুয়া দলিল তৈরি করে জমির মালিকানা দাবি করছেন এবং ইতিমধ্যে ২ শতক জমি দখলও করে নিয়েছেন।
মির্জা আব্দুল বাকীর অভিযোগ, জমির পেছনে দেলদারের মালিকানাধীন একটি টেকনিক্যাল স্কুল থাকায় রাস্তা সুবিধার উদ্দেশ্যে জমি দখলের চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে আদালতে মামলা হলে আদালত জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে দেলদার রহমান ভুয়া পরিচয়ে ঢাকার আগারগাঁওয়ের অগ্রণী ব্যাংকে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও অন্তত ১০টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ৩-৪ কোটি টাকার চেক ডিজঅনার মামলা করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেলদার রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া মামলায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছেন এবং নিজের লোকদের বাদী সাজিয়ে মামলা পরিচালনা করছেন। পরে আবার সেই মামলাগুলো থেকে নিজেদের অব্যাহতি নেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী আসেকি রব্বানী, এবিএম জয়নাল ইসলাম খান, এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কাছে দেলদার রহমানের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তবে অভিযুক্ত দেলদার রহমান দিলু বর্তমানে চেক জালিয়াতির মামলায় জেলহাজতে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।