রংপুর প্রতিনিধি:
বিনা নোটিশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দিয়ে রংপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছে সংশ্লিষ্ট খাতের মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা।
বুধবার সকাল থেকে নগরীর ছালেক পেট্রোল পাম্প, শাপলা পেট্রোল পাম্প, নর্দান পেট্রোলসহ সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ রয়েছে। পাম্প বন্ধ থাকায় যানবাহন ও মোটরসাইকেল চালকরা তেল না পেয়ে হতাশ হয়ে ফেরত যাচ্ছেন। আনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
রংপুর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে একটি পেট্রোল পাম্পে মোটরসাইকেলে তেল নিতে এসেছিলেন আশরাফুল ইসলাম। পাম্প বন্ধ দেখে ফিরে যাচ্ছিলেন।
তখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “তেল নিতে এসে দেখি, দিচ্ছে না। কোনো ঘোষণা ছাড়াই পাম্পগুলো বন্ধ করে দিয়েছে মালিকরা। এখন কোথায় তেল পাবো? মোটরসাইকেল নিয়ে দূরে যেতে হবে কাজে। দেখি আশেপাশের খোলা তেল আছে কিনা।”
শাপলা পেট্রোল পাম্প তেল নিতে এসে একই ভোগান্তিতে পড়তে হয় মোটরসাইকেল চালক নয়ন মিয়াকে।
তিনি বলছিলেন, “তেল নিতে এসে দেখি পাম্প বন্ধ। আমার বাইকে একেবারে তেল নেই। এখন ঠেলে নিয়ে আবারও বাসায় ফিরতে হবে।”
মিজান পেট্রোল পাম্পে গাড়ি চালক আজাহারুল ইসলাম বলছিলেন, “সারাদিন কাজের প্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। এখন তেল নিতে গেলে বলে, ফুরিয়ে গেছে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলন করার কোনো মানে হয় না।”
নগরীর নর্দান তেল পাম্পের ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তেল পাম্প বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রীয় পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পাম্প বন্ধ থাকবে।”
পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, “যেহেতু পূর্ব কোনো নোটিশ ছাড়াই সড়ক ও জনপদ বিভাগ পাম্প ভেঙে দিয়েছে, তাই যতক্ষণ না এটার সমাধান হবে, ততক্ষণ ধর্মঘট চলবেই।”