Sunday, July 20, 2025
Homeগাইবান্ধাফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে উঠা অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় মিলেছে

ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে উঠা অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় মিলেছে

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

আনোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদে ভেসে উঠা অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত যুবকের নাম মোরসালিন (২৫)। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের বদলখাঁ গ্রামের বাসিন্দা এবং রশিদুল ইসলামের বড় ছেলে।

গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হয়। এ সময় আশপাশের শত শত মানুষ নিহতকে একনজর দেখতে ভিড় করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কাটাদ্বারা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে মোরসালিন বাড়ি থেকে বের হয়ে বালাসীঘাট এলাকায় যান এবং সেখানে নদীতে একাধিকবার সাঁতার কাটেন। উপস্থিত লোকজন তাকে নদীতে না নামতে অনুরোধ করলেও তিনি কারও কথা শোনেননি। একপর্যায়ে স্রোতের তোড়ে তলিয়ে যান মোরসালিন।

নিখোঁজের একদিন পর, বৃহস্পতিবার বিকেলে নদীতে ভেসে ওঠে তার মরদেহ।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোরসালিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পাবনা মানসিক হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর চলতি বছরের ৩ জুলাই তাকে বাড়িতে আনা হয়। তিনি এসএসসি পাস করেছিলেন এবং ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। তার বাবা রশিদুল ইসলাম ঢাকায় সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

নিহতের দাদা চাঁন মিয়া জানান, “মানসিক সমস্যার কারণেই হয়তো এমনটা করেছে। কিছুদিন আগেও দেখা হলে সে জানিয়েছিল, এখন অনেকটা ভালো আছে। এমনকি বিয়ের কথাও বলেছিল।”

বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মোরসালিনকে।

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, “নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা তা বালাসীঘাট নৌ ফাঁড়ি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। শনাক্তের পর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

 

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর