মোজো ডেস্কঃ
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক ‘সত্যিকার অর্থেই একটি টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টার এ বৈঠক নিয়ে গোটা জাতি উৎকণ্ঠার সঙ্গে অপেক্ষা করছিল। বৈঠকে নির্বাচন ইস্যুতে তারেক রহমানের প্রস্তাব ছিল এপ্রিলে যে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে, সেটা উপযুক্ত সময় নয়। সে ক্ষেত্রে গোটা জাতি আনন্দের সঙ্গে লক্ষ করল, প্রধান উপদেষ্টা এটি ফেব্রুয়ারিতে আনতে সম্মত হয়েছেন। এর মাধ্যমে তারেক রহমান আবার প্রমাণ করলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণগুলো তাঁর মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে এবং নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন। অতীতে যেসব ছোটখাটো কথাবার্তা হয়েছে সেগুলো ভুলে গিয়ে সামনের দিকে জাতীয় ঐক্যকে আরো দৃঢ় করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে যেন নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে যেতে পারি। জাতির আকাঙ্ক্ষা যেন পূরণ করতে পারি এবং ১৫ বছরে ফ্যাসিস্টদের ধবংস করা কাঠামোকে নতুন করে একটা গণতান্ত্রিক কাঠামোতে যেন রূপান্তরিত করতে পারি।
গণতন্ত্র একটি দিনের বিষয় নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে একটি চর্চার বিষয়।
এটি একটি কালচার, সেই কালচার আমাদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। সারাক্ষণ আমাদের মধ্যে গালাগালি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বকাবকি না করে আসুন আমরা সবাই একযোগে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে নতুন বাংলাদেশ গঠন করার জন্য এগিয়ে যাই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও আমাদের নেতা তারেক রহমানের স্বপ্ন, যেসব শহীদ প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ।