মো: তোফাজ্জল হোসেন, বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বীরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের খামার খড়িকাদম গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের পিতা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো: শফির উদ্দিন অভিযোগ করে জানান, প্রতিবেশী মৃত খুঁজুল উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলামের ছেলে আহসান হাবীব শামীম ও শাহিনের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী তার নামীয় এবং দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় নিষ্কণ্টক সাতখানার মৌজার ৯১ খতিয়ানের ৬ নম্বর দাগের ৩২ শতাংশ গম ক্ষেত ঘাস নিধন বিশ প্রয়োগে মেরে ফেলে এবং হেরো দিয়ে জোর পূর্বক চাষ দেওয়ার সময় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এতে শরিফ উদ্দিনের বৃদ্ধা স্ত্রী মফিজা আহমেদ, পুত্রবধূ সাহিনা আক্তার, ভাগ্নেবৌ বিউটি আক্তার, ভাগিনা আব্দুস সালাম এবং প্রতিপক্ষ শহিদুলের ছেলে শাহিনুর ইসলাম আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরাসহ জমি মালিক দাবিদার শফির উদ্দিন মাষ্টার জানান ৫ ডিসেম্বর’২০২৪ দুপুরে আহসান হাবিব শামীম, শাহীন ও তাদের বাবা শহিদুল ইসলাম ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী সাথে নিয়ে হেরো দিয়ে জমি চাষ দেয়ার সময় মাষ্টারের ছেলে জিয়াউর রহমান বাধা দেয়, এতে তুমুল সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়, এক পর্যায় জিয়াউর কে তারা ঘিরে ফেলে, কিল ঘুষি মারতে থাকে, তাকে উদ্ধারের জন্য তার বৃদ্ধা মা মফিজা আহমেদ সহ অন্যন্যরা উপস্থিত হলে শামীম সবাইকে এলোপাথারি লাঠিপেটা শুরু করলে জিয়া, মফিজা আহমেদ, সালাম, শাহিনা এবং তার ভাই শাহিনুর আহত হয়।
এ ঘটনায় শফির উদ্দিন বাদি হয়ে ঐদিন রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরও জানান তার শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলীয় জমিতে প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম বারংবার বিবাদ সৃষ্টি ও হয়রানি করায় নিম্ন আদালতের একাধিক ডিক্রির বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে ৪ আগষ্ট’২৪ তারিখে সিভিল রিভিয়েশন কেস নম্বর= ৩৩৫৪/২০২৪ দায়ের করেন।
বিজ্ঞ বিচারপতি ন্যায় বিচারের স্বার্থে ২২ আগস্ট’২০২৪ তারিখ হতে আগামী ১ বছর ঐ জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, যা থানা পুলিশ এবং প্রতিপক্ষরা অবগত আছেন।
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে শামীমের সঙ্গে কথা হলে তারা দৃঢ়তার সাথে জানান, আমরা কোন কিছু তোয়াক্কা করি না, কার কি করার আছে করুক, দেখে নিব।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুরের সাথে কথা বলে জানা যায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা রয়েছে। তিনি ঘটনার বিষয় অবগত আছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।