আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের নারায়ণপুর ও দান্তেওয়াড়া সীমান্তে পুর জেলার পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৩০ মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ভারতে নিষিদ্ধ ও সশস্ত্র বামপন্থি সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি-মাওবাদীর (সিপিআই-এম) সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশভা রাও ওরফে বাসভরাজও রয়েছেন। পুলিশের খাতায় তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ সংবাদ নিশ্চিত করেছেন।
এই অভিযানকে যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে চিহ্নিত করে অমিত শাহ বলেছেন, তিন দশকের মধ্যে এই প্রথম সিপিআইএমের একজন সাধারণ সম্পাদককে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করতে পেরেছে। তিনি অভিযানে জড়িত নিরাপত্তাকর্মীদের সাহসিকতা ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেন।
নারায়ণপুর-বিজাপুর সীমান্তে প্রায় ৫০ ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলছে। মাওবাদীদের মাদ বিভাগের সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর ও কোন্ডাগাঁও এই চারটি জেলার জেলা রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) জওয়ানরা আবুঝামাদ এলাকায় অভিযানে বের হন। এর পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
মাওবাদী নেতা বাসভরাজ তেলেঙ্গানা রাজ্যের মানুষ। তিনি ২০১৮ সালে তাঁর পূর্বসূরি মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাওয়ের কাছ থেকে ভারতের বৃহত্তম সশস্ত্র এই বামপন্থি সংগঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনি একাধিক সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেসব অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য নিহত হয়েছেন। ২০১৮ সালে তাঁকে দল সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দেয়। বাসভরাজের মৃত্যুর পরে এখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ভারতে নিষিদ্ধ এই সংগঠনের পক্ষে আর সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। এই অভিযানে ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রজুড়ে ৫৪ মাওবাদী সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮৪ সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন বলেও পুলিশ জানায়।
সূত্রঃ এনডিটিভি।