ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সদ্য ঘোষিত চিলমারী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির পদ থেকে দুই নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য পাওয়া যায়।
এতথ্য নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ জানান, দলের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
অব্যাহতিকৃত নেতারা হলেন, সদ্য ঘোষিত চিলমারী উপজেলা বিএনপি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু সাঈদ হোসেন পাখী ও সদস্য আব্দুল মতিন শিরিন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলের আনুগত্য না মানা, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এবং চিলমারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রুহুল আমিন জিয়াকে মারাত্মক জখম করা এবং সেইসাথে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে সদ্য ঘোষিত চিলমারী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির পদ থেকে দুই নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
সদ্য ঘোষিত চিলমারী উপজেলা বিএনপি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু সাঈদ হোসেন পাখী বলেন, এটা এদের মনগড়া সিদ্ধান্ত। যাচাই বাছাই ছাড়াই হঠাৎ করে কি ঘটনা ঘটলো। কে ছিল না ছিল, কে-কারা করছে। ঘটনাগুলো তো ওদেরই পরিকল্পিত। ওরাই নিজেরাই পরিকল্পিত করে ঘটিয়েছে। এখন ওনারা ওনাদের গা বাঁচানোর জন্য এই কাজ করছে, দলীয় পরিপন্থি কাজ। দল থেকে বহিষ্কার করার একটা সাংগঠনিক নিয়ম আছে, কানুন আছে। একজন সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করতে গেলে আমি যেটা জানি চেয়ারম্যানের অনুমতি নেয়া লাগে। সেক্ষেত্রে হঠাৎ করে কেউ কাউকে বহিষ্কার করবে এই ক্ষমতা কেউ কারো কাছে রাখে নাই। আর যে নাটক গুলো চলতেছে সব এদের সৃষ্টি। এরাই আমাদের নাম দিয়েছে, মনগড়া নাম দিয়েছে একজায়গায় ঢুকে দিয়েছে। আবার মনগড়া এরা বহিষ্কার করলো, এগলে এদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে আব্দুল বারি সরকারকে আহ্বায়ক ও আবু হানিফা কে সদস্য সচিব করে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ। এই কমিটি বাতিল দাবি করে গতকাল দুপুরেই বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির একাংশ এবং ওই দিন রাতেই মশাল মিছিল কমিটি বাতিলের দাবি জানান নেতাকর্মীরা। মশাল মিছিলের পর পরই উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রুহুল আমিন জিয়াকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।