মোজো ডেস্কঃ
চায়ের দেশ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন অলিগলি ও আবাসিক এলাকায় গত দুই দিনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধ চা-পাতা জব্দ করেছে বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন ও অননুমোদিতভাবে মিনি চা কারখানা সীলগালা ও জরিমানাসহ এক ব্যবসায়ী এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিনব্যাপী শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের বিভিন্ন দোকানে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন।
চা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (বাণিজ্য) মো. আব্দুল্লাহ আল বোরহান বলেন, চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন স্যারের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এই অভিযান পরিচালনাকালে হবিগঞ্জ রোডে স্থাপিত ‘গ্রীন লিফ টি ফ্যাক্টরি’ নামীয় একটি চা কারখানা পরিদর্শনকালে দেখা যায় যে, কারখানাটি চা বোর্ডের নিবন্ধন ব্যতিরেকে গ্রিন টি উৎপাদন করছে। চা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া গ্রিন টি উৎপাদের অপরাধে বর্ণিত কারখানাটি সীলগালা করা হয় ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, শহরের স্টেশন রোড এলাকায় সোনার বাংলা রোডে অবস্থিত ‘মেসার্স গাছপীর এন্টারপ্রাইজ এন্ড টি হাউজ’ নামীয় অপর একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে শাহীবাগ আবাসিক এলাকায় তাদের সংরক্ষিত ৭৫ বস্তা ভারতীয় সিডি চা (প্রতি বস্তা ৭০কেজি) ৫২৫০ কেজি জব্দ করা হয়। এ অপরাধে জুবেল মিয়া নামক ব্যবসায়ীকে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করে মোবাইল কোর্ট।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে উপস্থিত বিটিআরআই পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন, চা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (বাণিজ্য) মো. আব্দুল্লাহ আল বোরহান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, শ্রীমঙ্গল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক নাজমুল প্রমুখ ।
চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপসচিব সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আসা চোরাই চা বিক্রয়, দুর্গন্ধযুক্ত নিম্নমানের চা ভরে বিক্রয়, নিলাম বহির্ভূত অবৈধ চা মজুদ, চা বোর্ডের বিডার ও ব্লেন্ডার লাইসেন্স না নিয়ে অনুমোদনবিহীন ব্র্যান্ডে চা বিক্রয়ের অপরাধে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমান আদালত নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা রয়েছে কোনো ভেজাল চা দেশে বিক্রি করতে দিব না। এ ব্যাপারে চা বোর্ড জিরো টলারেন্স থাকবে।’
প্রসঙ্গত গত ৮ জুলাই বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ভারতীয় চা মজুদ ও বিক্রয়ের কারণে টুম্পা টি হাউস-এর ৮,৬৯,০০০ টাকার অবৈধ চা জব্দ ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। স্টেশন রোড সংলগ্ন পদ্মা টি সাপ্লাই-এর ৬২,৭২০ টাকার অবৈধ প্যাকেট জাত চা ও ২০,০০০ টাকা জরিমানা এবং গ্রীণ লিফ টি -এর ৫৩,০০০ টাকার চায়ের অবৈধ প্যাকেট ও ৩,৫২০ টাকার চা এবং একটি প্যাকেজিং মেশিন জব্দ ও ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোট পরিচালনাকালীন সময়ে চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম ও সহকারী পরিচালক বাণিজ্য মো. আব্দুল্লাহ আল বোরহান, শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।