খালিদ ইবনে আহসান, বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক অভিযোগ করেছেন, একটি সংঘবদ্ধ মহল তাকে পরিকল্পিতভাবে হয়রানি করছে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মাহমুদ ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
রবিবার একটি হত্যা মামলায় জামিন লাভের পরদিন তিনি এই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করে আসছেন। এর জেরে তার বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যারা নানা সময়ে মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রে জড়াচ্ছে তাকে।
তিনি উল্লেখ করেন, এর আগেও তাকে হয়রানিমূলক মামলায় জড়ানো হয়েছিল। অটোচালক মানিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে ১৯ নম্বর আসামি করা হয়, যেটিকে তিনি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল হক আরও জানান, তিনি ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং তৎকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে সক্রিয় হন। তিনি ৭০৯ পৃষ্ঠার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন এবং জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনারও প্রতিবাদ করেন। আমি যখনই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি, তখনই কিছু গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে, তিনি জানান।
গত বৃহস্পতিবার তার গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিকেলের দিকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা কোনো রকম পূর্ববার্তা ছাড়াই তাকে তার বাসা থেকে তুলে নেয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের কারণ না জানিয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবগত না করেই সরাসরি কোতয়ালী থানায় নিয়ে যায় এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মাহমুদুল হকের দাবি, তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি।
তিনি মামলাগুলোকে ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে হাজীরহাট থানার ওসি আবদুল আল মামুন শাহকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি করেন। এছাড়া গ্রেফতারের পেছনে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের দাবিও তোলেন তিনি।