মোজো ডেস্কঃ
সরকার মব বন্ধের চেষ্টা না করে উল্টো আশকারা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। তিনি বলেছেন, আইনের শাসন কায়েম করতে ৮ আগস্ট সরকার গঠিত হয়েছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা চলে গেলে তিন দিন দেশে সরকার ছিল না। এ তিন দিন কি দেশ চলে নাই? চলছে।
এ সময়ের মধ্যে আরেকটা সরকার আনার দরকার হলো কেন? দরকারটা এ কারণে যে, দেশে তারা একটা আইনের শাসন কায়েম করবে। একটা অথরিটি থাকবে। যে অথরিটি বলবে— এ কাজটা ঠিক, এটা করা যাবে, এটা যাবে না। কিন্তু এরা তো কিছুই বলে না।
যেটা করে সেটা মবের পক্ষে যায়। আশকারা দেওয়া হয়। সরকার আশকারা দিচ্ছে বলেই মব হচ্ছে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
পটিয়ার ঘটনা সামনে এনে মাসুদ কামাল আরো বলেন, পটিয়ায় একজন ছেলেকে পিটাতে পিটাতে থানা পর্যন্ত নিয়ে এনে বলল— সে ছাত্রলীগ, তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ওসি বললেন— তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, সে পটিয়ার ছেলেও না। এমনকি তার নিজের এলাকাতেও কোনো মামলা নেই। তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করব কীসের ভিত্তিতে? তারাও বলছে— তার নামে কোনো মামলা নেই। এখন কথা হচ্ছে, মামলা না থাকলে গ্রেপ্তার করবে কেন?
তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন।
যাকে ধরে নিয়ে এসেছে, সে ছাত্রলীগ করতো। সে কি ছাত্রলীগের পক্ষে ওই মুহূর্তে কোনো মিছিল করছিল? ছাত্রলীগের পক্ষে ওই মুহূর্তে কোনো বক্তব্য দিচ্ছিল? সে শহীদ মিনার এলাকায়ই ছিল। এটাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের কথা কাটাকাটি এবং থানায় ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর ওসিকে প্রত্যাহার করলেন। তাহলে মেসেজটা কী গেল? মেসেজটা গেল— ওসি যা করেছে, তা করো না। তা করলে তোমাকেও প্রত্যাহার করে নিয়ে আসব।
মাসুদ কামাল বলেন, এ ঘটনায় একটা তদন্ত কমিটি বা আরো অনেক কিছু করতে পারত। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব অয়ন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে, পটিয়ার ওসিকে ফাঁসিতে ঝুলানো এখন জায়েজ হয়ে গিয়েছে। এনসিপির আরেকজন বলেছে, পটিয়া থানাকে এখনো কেন মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়নি? মিশিয়ে দেওয়া হয়নি? এসব তারা প্রকাশ্যে লিখছে। এগুলো তো ক্রিমিনাল অফেন্স। তাদের ব্যাপারে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে? এগুলো কি আইনের মধ্যে পড়ে না?