রংপুর নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে বরগুনা আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। জেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর, বিস্ফোরক আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শম্ভুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন আদালত। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে শম্ভুকে উদ্দেশ্য করে ডিম নিক্ষেপের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) পাঁচ বারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বরগুনা কারাগারে নিয়ে আসার পর দুপুর ২টার দিকে তাকে বরগুনা আদালতে হাজির করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এমন অভিযোগে গত ৩০ এপ্রিল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলামের ছেলে নাঈমুল ইসলাম বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে প্রধান আসামি করে বরগুনার আওয়ামী লীগের ১৫৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করা হয়।
এর আগে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দীর্ঘদিন শম্ভু পলাতক ছিলেন। পরে গত বছরের ১২ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে মহানগর গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে নিহত ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শম্ভুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এছাড়াও তাকে আশুলিয়া থানায় অন্য আরেকটি মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বরগুনা জেলা বিএনপি অফিস কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, বিস্ফোরক আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে বরগুনা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত আসামি থাকায় শম্ভুকে বরগুনা কারাগারে নিয়ে এসে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে এ মামলায় বরগুনার অতিরিক্ত মুখ্য হাকিম মো. মনিরুজ্জামান শম্ভুকে গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি তার পক্ষে জামিন আবেদন বাতিলের আদেশ দেন।
এ বিষয়ে বরগুনার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন বলেন, বিগত দিনে বিএনপি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আইনের আশ্রয় নেওয়া যায়নি। এ কারণে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আদালত ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওযার পর তার পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন আবেদন বাতিল করে শম্ভুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।