Monday, May 12, 2025
Homeসারাদেশসোনার দোকানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র-ককটেলসহ গ্রেফতার ৭

সোনার দোকানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র-ককটেলসহ গ্রেফতার ৭

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

রংপুর নিউজঃ
সোনার দোকানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চক্রের সাত সদস্য, অস্ত্র, গুলি, বোমা ও দুটি গাড়িসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

রোববার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

গ্রেফতাররা হলেন—মাসুদ রানা চৌকিদার (৩৮), শাকিল (২১), মামুন (৪০), মো. রাব্বি (২৬), মো. আসাদ মিয়া (৪৫), মো. পলাশ শেখ (৩৭) ও আনোয়ার হোসেন (৪৪)।

এ সময় তাদের হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি, ৩৬টি ককটেল এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়।

নাসিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার (১০ মে) রাত দেড়টার দিকে যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে মাসুদ রানা চৌকিদারকে একটি বিদেশি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে তার বাসা থেকে ৩৬টি ককটেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জের আনোয়ার হোসেন ও বরিশালের পলাশের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল গোপালগঞ্জ জেলার বৌলতলী বাজারের নিউ ডলি জুয়েলার্সে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি অভিযান চালিয়ে পরবর্তীতে শাকিল, মামুন, রাব্বি ও আসাদ মিয়াকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এবং দুটি গাড়ি জব্দ করে। একইদিন ধোলাইপাড় এলাকা থেকে পরিকল্পনাকারী পলাশ শেখ ও আনোয়ার হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়।

যুগ্ম কমিশনার বলেন, এই ডাকাত চক্রটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী রেকি ও অস্ত্র ব্যবহারে প্রশিক্ষিত। জানুয়ারি ২০২৫ থেকে এখন পর্যন্ত ডিবি মোট ৮৭ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ডাকাতির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম করতে গিয়ে সারা বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বিশেষ ধরনের ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় ডিবি যাদের মূল লক্ষ্য সোনার দোকান ডাকাতি করা। এক্ষেত্রে ডাকাতি কার্যক্রম সংঘটনের পূর্বে তারা রেকি করে এবং ডাকাতি কাজে অস্ত্র গোলাবারুদ ব্যবহার করে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে আসে। ফলে সমগ্র বাংলাদেশের এ ধরনের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের গতিবিধির ওপর ডিবির গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর