দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দরে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৮ টাকা। যা একসপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে দাম কমে আসায় খুশি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররাও। আমদানিকারকরা বলছেন- সামনের দিনে পেঁয়াজের দাম ২০ টাকায় নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর নাসিক গুজরাট বেলোরি জাতের পেঁয়াজ বেশি আমদানি হচ্ছে। একসপ্তাহ আগেও বন্দরে এসব জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব জাতের পেঁয়াজের দাম কমে ৩২ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণও আগের তুলনায় বেড়েছে। গতসপ্তাহে যেখানে বন্দর দিয়ে ৫ থেকে ১০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল, এখন সেখানে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।
স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করি। পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহের প্রথম থেকেই কমতির দিকে ছিল। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমতে কমতে এমন পর্যায়ে এসেছে, যা বলার মতো নয়। যে পেঁয়াজ একসপ্তাহ আগেও ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ছিল, সেই পেঁয়াজ এখন দাম কমে ৩০ থেকে ৩৩৮ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম কমছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা আরেক ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমদানি বৃদ্ধির ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। এছাড়া দেশীয় নতুন পেঁয়াজও পর্যাপ্ত পরিমাণে উঠেছে। আমদানিকৃত ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম প্রায় সমান সমান হয়ে গেছে। এর ফলে বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের চাহিদাই বেশি।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পুরোনো জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল। এসব পেঁয়াজের সররবাহ কমে যাওয়ায় ভারতের বাজারেই দাম বেশি ছিল। যার কারণে আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছিল। ফলে দেশের বাজারে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এর ফলে সে দেশের বাজারেই পেঁয়াজের দামও অনেকটা নিম্নমুখী। এতে করে ভারতে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারায় আমরাও আমদানি করে দেশের বাজারে কম দামে বিক্রি করতে পারছি।