Saturday, May 3, 2025
Homeদিনাজপুর১১ বছর আগে চাঁদাবাজি ও বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে খানসামায় মামলা

১১ বছর আগে চাঁদাবাজি ও বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগে খানসামায় মামলা

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

১১ বছর আগে চাঁদাবাজি ও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে খানসামা থানায় মামলা দায়ের করেছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৩৫০ জনকে অভিযোগে আসামী করা হয়। তবে এজাহারে উল্লেখিত আসামীরা তাদের নাম, পিতার নাম ও বয়স যাচাই-বাছাই করে এজাহারের সাথে বাস্তবে অনেকের নাম, পিতা ও বয়সের অমিল পাওয়ায় বিভ্রান্তে পড়ার অভিযোগ তুলেন।এমনকি এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার সময়ে অনেকের বয়স ১০-১২ বছর হয়েও এই মামলার আসামী তালিকায় থাকার কথা জানান। এজাহারে পাকেরহাট সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদাত আলী ও আংগারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা শাহয়ের নাম থাকলেও পাকেরহাট সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদাত আলী সবুজের জায়গায় সুজন এবং মোস্তফা শাহ’র পিতার নাম ভিন্ন। এনিয়ে তালিকায় নাম থাকা নেতাদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান স্মৃতি বাদী হয়ে ১১ বছর আগে তাঁর কাছে চাঁদাবাজি ও উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও হামলার অভিযোগে এ মামলা করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর এই মামলার আসামীগণ ব্যবসায়ী ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাশেদুজ্জামান স্মৃতির কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে জোরপূর্বক ৩ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে বাকি ২ লক্ষ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। একই মামলায় উল্লেখ করা হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পাকেরহাটস্থ উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং এই মামলার বাদী রাশেদুজ্জামান স্মৃতিকে শারীরিক নির্যাতন করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এই মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামীরা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক ডাকসু সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এরশাদ জামান, গোয়ালডিহি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল ডাবলু শাহ, হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোনায়েম খান, আলোকঝাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খগেশ্বর রায়, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাকেশ গুহ, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের আহ্বায়ক সুশান্ত মহন্ত, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাওফিক আহমেদ শামীম ও আবু হেনাসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে এজাহারে।

মামলার বাদী রাশেদুজ্জামান স্মৃতি বলেন, নির্যাতনের স্বীকার হয়েও এতদিন আওয়ামী লীগের অত্যাচারে আইনের দারস্থ হতে পারিনি। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে থানায় মামলা করেছি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমুল হক বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই মামলার নামীয় আসামী একজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানান।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর