ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক কলেজছাত্রী। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকাল থেকে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকার প্রেমিক আলিফ মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।
আলিফ মিয়া ওই গ্রামের সাহিদুল ইসলামের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী উপজেলার অষ্টমিরচর ইউনিয়নের মুদাফৎথ কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা। ছেলে আলিফ মিয়া রাজধানী শহর ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন আর মেয়ে চিলমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর প্রেমিক আলিফ মিয়া বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী জানান, ৭ মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক আলিফ তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। এরপর থেকেই আলিফকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ছেলে প্রথমে বিয়ের জন্য সম্মতি দিলেও পরে বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। সম্প্রতি প্রেমিকের এলাকায় ওই তরুণী এসে দেখা করেন পরে তাদের মধ্যে মেলামেশা হয়েছে বলে জানান ওই শিক্ষার্থী। দেখা করার বিষয়টি লোকসমাজে জানাজানি হলে মান সম্মানের ভয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের জন্য অনশন করেন ওই কলেজশিক্ষার্থী। পরের ছেলে সহ ছেলের পরিবার তাদের মধ্যে থাকা সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তিনি অনশন শুরু করেছেন। প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মঘাতী হবেন বলেও জানান ওই কলেজছাত্রী।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী ওই কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তিনি ৭ মাস প্রেমের সম্পর্কের সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ দিতে পারেননি। এছাড়াও তার কাছে ছেলের মোবাইল নম্বর ও ছেলের ছবি নাই বলে জানান তিনি। তবে সময় হলে প্রমাণ দিবেন বলে জানিয়েছেন।
পলাতক থাকায় এ বিষয়ে নিয়ে প্রেমিক আলিফ মিয়ার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের লোকজন বলেন, তাদের ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নেই। তবে দুই একদিন কথা হলেও হতে পারে।
উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নে পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম সবুজ সবুজ মিয়া জানান, এই বিষয়টি আমার জানা নাই। আর আমাকে জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম বলেন, এ বিষয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।