Sunday, June 15, 2025
Homeরাজনীতি৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সেনাবাহিনী-পুলিশের চেষ্টায় উদ্ধার নুর

৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সেনাবাহিনী-পুলিশের চেষ্টায় উদ্ধার নুর

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

মোজো ডেস্কঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার পাতাবুনিয়া বটতলা বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে একটি ফেসবুক পোস্টে নুরুল হক অভিযোগ করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী হাসান মামুনের অনুসারীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে বকুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় প্রয়াত দলীয় কর্মী বাদল মেম্বারের স্মরণসভা শেষে ফেরার পথে ভিপি নুরুল হক নুর হামলার শিকার হন। পথরোধ করে তার ওপর হামলা চালানো হয়, ভাঙচুর করা হয় ৮-১০টি মোটরসাইকেল। প্রায় ৫ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ভোররাত ৪টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা ডাকবাংলোয় নিয়ে যায়।

নুরুল হক তার স্ট্যাটাসে প্রশাসনের দুর্বলতার কথা তুলে ধরে লিখেছেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসেও ‘সন্ত্রাসীদের’ রাস্তা থেকে হটাতে পারেনি।

এক ভিডিও বার্তায় নুর বলেন, ‘আমরা রাতে স্মরণসভা শেষ করে ফেরার পথে হাসান মামুনের অনুসারীরা গাছ ফেলে, রড, রামদা নিয়ে হামলা চালায়। স্থানীয়দের মারধর করা হয়। তারা ভাঙচুর করার পাশাপাশি পুড়িয়ে দিয়েছে একাধিক মোটরসাইকেল।’

অপরদিকে বিএনপি নেতা হাসান মামুন বলেন, ‘নুরুল হক নুর সম্প্রতি ঠিকাদারি কাজ নিয়ে জেলা বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন। এছাড়া তার লোকজন চরবিশ্বাস বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসব ঘটনার পর স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে থাকতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখন ঢাকায় অবস্থান করছি। ভিপি নুরের অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে উদ্ধারের অনুরোধ জানিয়েছি। আমি গলাচিপায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই।’

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টানা পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ভিপিকে (নুরুল হক নুর) সেনাবাহিনী ও পুলিশ উপজেলা ডাকবাংলোয় আশ্রয় দেয়। পরে নিরাপত্তা দিতে অপারগতা জানিয়ে তাকে গলাচিপা ছেড়ে জেলা শহরে যেতে বলা হয়। বিএনপির সঙ্গে আমাদের খুবই সুসম্পর্ক ছিল তবে এই সম্পর্কের অবনতি ঘটালেন হাসান মামুন। আমরা উক্ত ঘটনায় দুপুরের পর সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

তবে এ বিষয়ে গলাচিপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সৈয়দুজ্জামান এবং গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর