রাশেদ নিজাম, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ভেরভেরী গ্রামের কাইয়ুম হোসেন। তিনি ‘পরপারের দাফন সেবা’ নামে গড়ে তুলেছেন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, যেখানে অসহায় ও কবরস্থানবিহীন মুসলিমদের দাফনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
এই মহতী উদ্দেশ্যে তিনি দান করেছেন প্রায় ৬৫ শতক জমি, যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি কবরস্থান। পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন আধুনিক ও দর্শনীয় ধাইজান বায়তুল হেরা জামে মসজিদ, যার আয়তন প্রায় ২,৬০০ বর্গফুট এবং যার ভিত্তি পঞ্চতলা ভবনের উপযোগী করে নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কাইয়ুম হোসেন ঢাকা শহরের শনিরআখড়ায় বসবাস করলেও গ্রামের টানে প্রায় ৯০ শতক জমি কিনে এখানে ‘নানুবাড়ী’ নামে একটি বাসস্থানও নির্মাণ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার সন্তানদের গ্রাম দেখানোর ইচ্ছে ছিল। গ্রামের মানুষদের কষ্ট দেখে আগে কবরস্থান, পরে মসজিদ ও নানুবাড়ী করি।”
এখানেই থেমে থাকেননি কাইয়ুম। দাফনের কাপড়, কাফনের ব্যবস্থা ও সেবার জন্য একটি নম্বর (০১৮৭৮-৫৯০৭৯০) চালু রেখেছেন, যাতে ভিডিও কলের মাধ্যমেই সেবা গ্রহণ করা যায়।
ঢাকায় ঠিকাদারি ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবায়ও তিনি সক্রিয়।
কিশোরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন “নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রম”-এর নিয়মিত দাতা কাইয়ুম হোসেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম বলেন, “কাইয়ুম হোসেন এই এলাকার গর্ব। তিনি যেভাবে দাফন ও ধর্মীয় কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তা সত্যিই বিরল।”
পুটিমারীর দিনমজুর হামিদুল ইসলাম বলেন, “প্রতি ঈদে তিনি সপরিবারে গ্রামে আসেন এবং পাড়ার দরিদ্র শিশু ও নারীদের জন্য ঈদের পোশাক নিয়ে আসেন।”