Friday, May 2, 2025
Homeগাইবান্ধাকাজের মেয়াদ শেষেও হয়নি সেতু

কাজের মেয়াদ শেষেও হয়নি সেতু

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

২০২২ সালের ১৫ মে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নগরকাঠগড়া এলাকায় ঘাঘট নদীর ওপর নির্মাণকাজ শুরু হয় সেতুটির। গত বছরের ১৪ নভেম্বর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর কাজ আজও শেষ হয়নি। এতে ঝুঁকি নিয়ে পুরোনো সেতু দিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও ভারী যানবাহন। ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, তদারকির অভাব ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে ধীরগতিতে চলছে কাজ। যদিও সংশ্লিষ্টরা নদীর পানি বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরের যোগাযোগের একমাত্র সড়কের নগরকাঠগড়ায় ঘাঘট নদীর ওপর ৯৯ দশমিক শূন্য ৬ মিটার পিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ঠিকাদার তপন সরকার কাজটি বাস্তবায়ন করছেন। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর চুক্তি মূল্য ১০ কোটি ৫৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩২ টাকা। বাস্তবায়নকারী সংস্থার দায়িত্বে রয়েছে রংপুরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তদারক করছে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
সেতুটির পাশেই রয়েছে দীর্ঘদিনের পুরোনো আরেকটি সেতু। এর ওপর দিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালে নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। তবে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হলেও ৫০ শতাংশ কাজও হয়নি বলে দাবি স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মো. ইউনুছ আলীর। তাঁর ভাষ্য, নির্মাণকাজে বিলম্বের কারণে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তিন উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কের ওপর সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বার বলেন, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো ছোট ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ঠিকাদার কেন বিলম্ব করছেন, তা খতিয়ে দেখা একান্ত প্রয়োজন। এ জন্য তিনি কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং মাটি না পাওয়ার কারণে নির্মাণকাজে বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি ঠিকাদার তপন সরকারের। তাঁর ভাষ্য, ইতোমধ্যে পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন তারা। সেতুর প্রায় ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে বলে দাবি তাঁর।
একই ধরনের কথা বলেন মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, নদীতে পানি আসার কারণে নির্মাণকাজে বিলম্ব হচ্ছে। ঠিকাদারকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য। কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদন করার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নাফ বলেন, সেতুটি সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্মাণ হলেও দেখভাল করছে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন বলে তিনিও মত দেন।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর