লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ইমরান খান (৩৫) নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বিচার চেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। শিক্ষক ইমরান উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের ডাকুর খামার মাস্টারপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন ইমরান। বিদ্যালয় ছুটির পরে সেখানে প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। গত দুর্গাপূজার ছুটির সময় বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াতেন ইমরান খান। এ সময় সব শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন সহকারী শিক্ষক ইমরান। পরে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি তার বাড়িতে জানালে ধর্ষণের ঘটনাটি গোপনে রেখে নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর চিকিৎসা করান ওই শিক্ষকের পরিবার। একই সঙ্গে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও করেন তারা।
সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় কতিপয় মাতব্বর আপসের কথা বলে কালক্ষেপণ শুরু করেন। এতে ফুঁসে ওঠে বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা লম্পট শিক্ষক ইমরানের বিচার দাবিতে বুধবার প্রধান শিক্ষক বরাবর গণপিটিশন দাখিল করেন। একই দিন রাতে শিক্ষক ইমরানের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর বাবা। ঘটনা জানাজানির পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্র বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষক তিন দিনের ছুটিতে রয়েছেন।’
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা নথিভুক্ত প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষক ইমরান খানকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।’