বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগর এলাকায় তথাকথিত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সাধন ঘোষ মাস্টারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় ইসলাম মিয়া ভুটুলিয়ার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয় মর্মে স্থানীয়দের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মহিলাসহ দু’পক্ষে ৭ জন আহত হয়ে বীরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১৯ নভেম্বর’২০২৪ দুপুরে সাধন মাষ্টার একদল ভাড়াটে লোক সাথে নিয়ে লাঠি সোটা দা বললাম দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিবেশী নিরীহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিবেশী সাধারণ কৃষক ইসলাম মিয়া ওরফে ভুটুলিয়ার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে তার একটি টিনচালা ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় ঘেরা বেড়া ও টিন সমূহ সাধন ঘোষের বাড়িতে নিয়ে যায়। তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়ির অদূরে খড়ের পালায় ও ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের ইসলাম নিয়া, সমিরন, মমিরন , আনোয়ারুল ও সজীব এবং প্রতিপক্ষের সাধন ঘোষ এবং সুবোধ ঘোষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিকেলে একদল সাংবাদিক সরোজমিনে গেলে সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত ইসলাম মিয়া ও প্রতিবেশীরা জানায় সাধন ঘোষ মাস্টার প্রভাবশালী হওয়ায় কোন কিছু তোয়াক্কা করে না।
ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার একইভাবে নিরীহ ও দরিদ্র ইসলামিয়ার পরিবারের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, মিথ্যা মামলার পর মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আজকের বাড়ি ঘরের হামলায় ও সংঘর্ষে তার আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইসলাম মিয়া। এলাকার অনেকে জানান সাধন মাস্টার গ্রুপ বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন দিয়ে আক্রমণ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, বারংবার দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হলেও মুখ খুলছেন না কেউ , সাধন মাস্টার একাধিক মামলার বাদী হয়েও নিজেই আইন হাতে তুলে নিয়ে যা না তাই করছেন, আদালতের আশ্রয়ে থাকা বিবাদমান জমিতে সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা জবর দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা আইন বহির্ভূত, চরম বে-আইনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ও ঘটনার সাথে জড়িত সাধন ঘোষ মাস্টারের সাথে হাসপাতালে এসে কথা বললে তিনি জানান জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে এবং আমার জমি আমি দখল করব তাতে কার কি করার আছে করুক। ভাড়াটে বাহিনী এবং বেআইনিভাবে আদালতের আশ্রয়ে থাকা জমিতে হামলা করা সমীচীন কিনা প্রশ্নের জবাবে সাধন মাস্টার বলেন আমার জমি আমাকেই রক্ষা করতে হবে, তাই ভাড়াটে লোকজন নয়, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে জমি দখল উদ্ধার করতে গিয়েছিলাম, এতে আমি ও আমার ভগ্নিপতি আহত হয়েছি। আহত ইসলাম মিয়া ওরফে ভুটুলিয়ার স্ত্রী মোসাঃ মমিরণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে জানান, সাধন মাস্টার এলাকার প্রভাবশালী লোক তার এক ভাই পুলিশের অফিসার নিজেও আওয়ামী লীগের নেতা, তাই আমরা সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, নামিদামি মানুষকেও তোয়াক্কা করেন না। আমাদেরকে যে কোন মুহূর্তে জীবন নাশ করা সহ গ্রাম ছাড়া করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমরা প্রশাসন সহ সর্বস্তরের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানা মোঃ আব্দুল গফুরের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান ৯৯৯ অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বীরগঞ্জের পল্লীতে বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, আহত-৭.
Facebook Comments Box