মোঃ মাহফুজুর রহমান সরকার ,ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক কিলোমিটার রাস্তা খুঁড়ে বালু দেওয়ার পর কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় খুঁড়ে রাখা মাটি ও বালু মিশে রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কাজ বন্ধ করে সড়ক ফেলে রাখায় হাজার হাজার মানুষের চলাচলসহ স্কুলগামী শিশুরা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বানিয়াল থেকে চেচুরিয়া গ্রাম পর্যন্ত ১ কিলোমিটার পাকা করার জন্য রাস্তার মাঝ বরাবর মাটি কেটে বালু দেওয়া হয়েছে। এরপর গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি জমে ওই মাটি-বালু কাদায় পরিণত হয়ে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। লোকজন এর উপর দিয়ে অতি কষ্টে চলাচল করছে। উপজেলা সদরসহ হাট-বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক হওয়ায় আশপাশের ৯টি গ্রামের অন্তত ১০-১২ হাজার মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে।
চেঁচুুড়িয়া গ্রামের ভ্যানচালক শাহজাহান আলী আক্ষেপ করে বলেন, এ আস্তা (রাস্তা) দিয়ে কোন মালামাল নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না, বালুর মধ্যে চাকা ডাবা (দেবে) যায়। একটু প্রেসার দিলেই মোটর পুড়ে যায়। গত ছয় মাসে হামার ভ্যানের দুইটি মোটর পুড়ে গেছে। হামার এই ক্ষতিপূরণ কে দিবি। হামরা তো গরিব মানুষ, হামাহরে দুঃখ আর কে দেকবি?
চেঁচুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, রাস্তায় শুধুমাত্র বালু আর বালু। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন থেকে আমাদের স্কুলে যাতায়াত করার জন্য খুবই কষ্ট হয়ে পড়েছে। আমরা রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে উপজেলা এলজিইডি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এক কিলোমিটার রাস্তার পাকা করার কাজ পায় বাবু ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কাজটি তারিকুল ইসলাম সাজু নামে এক ঠিকাদার কাজটি কিনে নেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বে¡ও তারা নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় বর্ধিত সময় দেওয়া হয়।
দিকে ঠিকাদারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
দিনাজপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, ঠিকাদারকে কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।