রংপুর নিউজঃ
রংপুর সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একটি সালিশ বৈঠকে ১৪ লাখ টাকা নগদ ও দুই লাখ টাকার চেক জোর করে নেওয়ার অপরাধে শুক্রবার (২ মে) রাতে পালিচড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অলিভ মাহমুদ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের বাসিন্দা রহমান মিয়া ঢাকায় খামার ব্যবসা করেন। তার ঢাকার বাসায় সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের একটি মেয়েকে কাজের জন্য নিয়ে যান। মেয়েটি বাড়ি ফিরে এলে আবার তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আসেন ওই ব্যবসায়ী। এসময় ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করে মেয়েটি। সে জানায়, ঢাকার বাসায় তার ওপর শারীরিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানি করা হয়েছে। তাই ওই বাসায় আর যাবে না।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের একটি অংশ মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য ওই ব্যবসায়ীকে চাপ দেন। একপর্যায়ে তার কাছ থেকে মেয়েটির বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে ১৪ লাখ টাকা নগদ ও দুই লাখ টাকার চেক নেওয়া হয়।
সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আনারুল ইসলাম, সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন ও একজন বিএনপি নেতা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেন। দুই লাখ টাকার চেকটি নিজের কাছে রাখেন সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন। মেয়েটির পরিবারকে দেওয়া হয় ১১ লাখ টাকা। ভাগবাঁটোয়ারা করা হয় কিছু টাকা। পরে ঢাকার ওই ব্যবসায়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয় সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলনকে।
রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার ওসি অলিভ মাহমুদ জানান, আসামিকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।