Tuesday, June 17, 2025
Homeদিনাজপুরপার্বতীপুরে তিন বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজ, সড়কে ভোগান্তি

পার্বতীপুরে তিন বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজ, সড়কে ভোগান্তি

- Advertisement -

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

রুকুনুজ্জামান,পার্বতীপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে তিন বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজ সড়কে, ভোগান্তি জনগনের।এমন বেহাল অবস্থা পার্বতীপুর উপজেলার ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের তিলাই নদীর ব্রিজ নির্মাণে এলাকাবাসী অভিযোগ।

জানা গেছে পার্বতীপুর উপজেলার পশ্চিম -দক্ষিণ কোণের চন্ডিপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ জনগন শহরমুখী হন এ দুটি ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতে করে। প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে ব্রিজ পারাপারে ভারী যানবাহন অটো, ভ্যান মোটরসাইকেল, রিকশা পথচারী চলছে।

এমন একটি জনপদের নাম পার্বতীপুর উপজেলার ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়ন। একাধিক সুত্রে জানা গেছে , ব্রিজ নির্মাণাধীন ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেও বটে। পার্বতীপুর উপজেলার একই ইউনিয়নে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সেতুর নির্মাণের কাজ চলছে। সিডিউল অনুযায়ী কাজ শেয হবার কথা থাকলেও দীর্ঘ চার বছরেও ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় পথচারী ও যানবাহনের দুর্ভোগের শেষ নাই।

এটি যেন মরণ চিহ্নে পরিনত হচ্ছে। এটির অবয়ব পার্বতীপুর উপজেলার ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব দিকে অদুরে তিলাই নদীর নির্মাণাধীন ৩০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যর পি এস সি গার্ডার ব্রিজ এবং একই পথে একই ইউনিয়নের দুটি ব্রিজের কাজ করে যশোরের আইসিএল (পিভিটি) এলজিইডি সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আইসি এলের সঙ্গে সেতু দুটির নির্মাণ কাজ চুক্তি হয়। এতে নির্মাণ ব্যয় ৭ কোটি ৯৬ লাখের উর্ধে। এর মধ্যে চন্ডিপুর ঝাড়ুয়াডাঙ্গা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৩ কোটি ৫ লাখের উর্ধে। এটি ২০২২ সালে ৬ মার্চ কাজ আরম্ভ হয়। শেষ হবার কথা ছিল ১১ অক্টোবর ২০২৩।

কাজটির চলমান প্রক্রিয়ায় একাধিক বার সময় বেড়ে নিয়েও কাজ শেষ করতে পারে নাই। অপরদিকে বছির-বানিয়াহাট সংলগ্ন ব্রিজটি ৮১ মিলিমিটার দৈর্ঘ্য । নির্মাণ ব্যয় ৪ কোটি ৯০ লাখের উর্ধে। কাজটি ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ শুরু করে। শেষ হবার কথা ছিল ৩১ জুন ২০২৩। এ কাজটিতেও একাধিক সময় বাড়ায়। তারপর ও কাজ শেষ করতে পারে নাই। এ প্রতিবেদক ৫ মে স্পর্টে গেলে এলাকার রাসেল মিজমুল, নজরুল ইসলাম, মানিক, মোজাফ্ফর হোসেন জানান, যুগের পর যুগ যাচ্ছে তবু্ও ব্রিজের কাজ শেষ হচ্ছে না।

আর কতদিন লাগবে বলে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আখতার হোসেন বলেন, ব্রিজ দুটি আমার আওতায় থাকলেও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে জেনে আপনাকে জানাতে পারার কথা বলেন । এছাড়া ব্রিজ নির্মাণধীন কর্মরত মিস্ত্রি হালিম জানান, আমরা চেষ্টা করছি ব্রিজের কাজ শেষ করবো।

ঠিকাদার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ব্রিজ দুটির নির্মাণ কাজ সময় মতো হয়নি। তারা চারবার সময় নিয়েছে ।

Facebook Comments Box
spot_img
এ বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -spot_img

সর্বাধিক পঠিত খবর