ইকবাল বাহার, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড় সদর উপজেলার একটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে নারী ও শিশুসহ আরও ২১ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদেরকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন সকালে উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি এলাকার সীমান্ত পিলার ৭৫৭ এর ১০ নম্বর সাব পিলার হতে আনুমানিক আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে তাদের আটক করে বিজিবির টহলদল। এই সীমান্ত এলাকাটি জয়ধরভাঙা বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) আওতাধীন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪ টার দিকে তাদেরকে ঠেলে দিয়েছে ভারতের টিয়াপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ। আটক ২১ জনই বাংলাদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে দুইজন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ১৩ জন শিশু রয়েছে। তাদেরকে দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিজিবি)।
বিজিবি জানান, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অবস্থান করে কাজ করছিলো তারা। গত ২১ মে তাদেরকে গুজরাট এলাকা হতে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। পরে বিমানযোগে কলকাতা নিয়ে আসে এবং কলকাতা হতে বাসযোগে নিয়ে এসে টিয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের নিকট হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে টিয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প কর্তৃক তাদেরকে গেইট দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা বিএসএফের কাছে জানতে চেয়েছি তারা কেন অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশে তাদেরকে ফেরত পাঠালো। বিজিবিকে জানিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত পাঠানো উচিত ছিল। এ বিষয়ে আমরা বিজিবির পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা দায়ের করবো।
পঞ্চগড় সদর থানার তদন্ত ওসি সোহরাওয়ার্দী জানান, হাড়িভাসা ইউনিয়ন হতে বিজিবি ২১জন অনুপ্রবেশ কারিকে আটক করে। তাদেরকে সদর থানার সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ মে বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা ও কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ডানাকাটা সীমান্ত এলাকা থেকে ১১ জনকে আটক করে বিজিবি। তাদেরকেও ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ।