দিনাজপুরে দুদকের গণশুনানি, একাধিক দপ্তরে অনিয়মের অভিযোগ
দিনাজপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে অংশ নিয়েছেন কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মোহাম্মদ আলি আকবর আজিজী। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে দিনাজপুর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ উঠে আসে। শুনানিতে বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক এটিএম ময়নুল হাসানের কাছে কমিশনার জানতে চান, ৭ লাখ ৫০ হাজার লাইসেন্স কেন প্রিন্টের অপেক্ষায়? উত্তরে তিনি জানান, একটি ভারতীয় কোম্পানি লাইসেন্স প্রিন্টের দায়িত্বে ছিল, কিন্তু তাদের সদস্যরা পলাতক। নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
একজন ভুক্তভোগীর অস্পষ্ট লাইসেন্স সরবরাহজনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশনার প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং সিস্টেম পরিবর্তনের পরামর্শ দেন। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে পরিচ্ছন্নতার অভাব, দালালদের দৌরাত্ম্য, রোগ পরীক্ষা বাণিজ্য ও ওয়ার্ড বয়দের অর্থ আদায়ের অভিযোগে পরিচালককে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুইবার বদলি হয়েও যোগদান না করা এক ল্যাব টেকনিশিয়ানের বিষয়ে সিভিল সার্জনের ব্যাখ্যা গ্রহণ করেন কমিশনার। পরে ওই কর্মকর্তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।

জেলা নির্বাচন অফিসে আইডি কার্ডে হয়রানি, দ্বৈত ভোটার, জন্ম তারিখ সংশোধন না হওয়া ও রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য ও হয়রানির অভিযোগে যাচাই প্রক্রিয়া সহজ করার পরামর্শ দেন কমিশনার। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের দিনাজপুর হাউজিং এস্টেটের কর্মকর্তা রায়হান গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তাকে খুঁজে বের করে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নেসকো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ১ ও ২-এ ভুয়া মিটার রিডিং ও অযৌক্তিক বিল সংক্রান্ত অভিযোগে তিন দিনের মধ্যে সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়। গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এবং দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হোসেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য লিখুন