হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি
দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারনে ২ দিনে বন্দরের খুচরা বাজারে কেজি প্রতি দাম কমেছে ৫০ টাকা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ভারত থেকে একটি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের সূচনা হয়।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রকি মিয়া বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ২ দিনে ৩ ট্রাকে ৯০ মে, টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে।
আমদানি বৃদ্ধি পেলে বাজারে দাম আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।
তবে আজকের আমদানিকৃত পেঁয়াজ ট্রাক সেল হয়েছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় ইনভয়েস (চালান মতে) ২৪৫ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী জানান, বন্দরের ৪ টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।
হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত আরও আগে নিলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকতো বলে আমি মনে করি। আবার সরকার ভারত থেকে মাত্র সীমিত পরিসরে ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে, যা খুবই কম। নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি অনুমতি দেওয়ার সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ একটি ভারতীয় ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। আগে ৪ থেকে ৫ হাজার টন পর্যন্ত আইপি দেওয়া হতো।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হক বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার সীমিত পরিসরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
আমাদের এই বন্দর দিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠান ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। যা আগের তুলনায় অনেক কম। আবার পেঁয়াজ আমদানির জন্য নতুন করে আইপি অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে বন্দরের ব্যবসায়ীরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ অল্প কিছু দিন বাজারে দেশী পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ হবে তখন ভারতীয় পেঁয়াজের কদর কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেশি করে শুরু হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকবে এবং আরও কমে আসবে বলে আমি মনে করি।
হিলি কাস্টমস এর রাজস্ব কর্মকর্তা বাধন বলেন, দীর্ঘ দিন পরে দুই দিনে ভারতীয় ৩ ট্রাকে ৯০ মে,টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশের দ্রুত সরবরাহ করতে কাস্টমস সবধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা মঈনুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারনে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কমেছে। দেশী পেয়াজ ৭০-৭৫ বিক্রি হচ্ছে যা গত ৩ দিন আগে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে।
আমদানি বেশি হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে বলে আমি মনে করি।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য লিখুন